নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ৫ ডিসেম্বর ৷৷ ভোররাতে শ্বশুরবাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু কার্তিক দাস নামের ২৪ বছরের যুবকের৷ কার্তিকের নিকটাত্মীয়দের দাবি শ্বশুরবাড়ি লোকেরা পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে কার্তিককে৷ অপরদিকে কার্তিকের স্ত্রী ও শাশুড়ির অভিযোগ কার্তিকের মামাত্ব ভাই ভাগ্য দাসের দিকে৷ ঘটনা মনুভ্যালি গ্রাম পঞ্চায়েতের জীবনটিলা এলাকায়৷ কার্তিকের পরিবার সহ এলাকাবাসীরা থানার দ্বারস্থ হয়েছে৷ ঘটনাস্থলে কৈলাসহর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ কৈলাসহর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী৷

কৈলাসহর মহকুমার ইরানি থানার অন্তর্গত হীরাছলা এডিসি বিলেজের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কার্তিক দাস এর সাথে চন্ডিপুর ব্লক এর অধীন গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুমতি দাসের ১ বছর পূর্বে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়৷ বিয়ের পর থেকেই প্রায়ই উভয়ের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা লেগে থাকত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা৷ কার্তিক প্রতিদিনই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরত ফলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত৷ গত শুক্রবারে ও কার্তিক অনুমতির মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং এর বিচার চেয়ে কার্তিকের স্ত্রী অনুমতি কার্তিকের মামা ও মামাতো ভাইয়ের দ্বারস্থ হয়৷ অভিযোগ সেদিন বিচারের নামে কার্তিকের মামা সুশীল দাস ও মামাতো ভাই সৌভাগ্য দাস কার্তিককে বেধরক মারধর করে৷
পরবর্তী সময়ে কার্তিক কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে কার্তিকের শ্বশুরবাড়ির লোক কার্তিককে ডাক্তার দেখায় এবং গতকাল কার্তিকের শাশুড়ি কার্তিক ও কার্তিকের স্ত্রী অনুমতিকে নিয়ে এলাকায় নিজ বাড়িতে যায়৷ এবং রাত্রে একটা নাগাদ কার্তিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কার্তিকের বাড়িতে জানায় পরবর্তী সময় কার্তিকের পরিবারের লোক পৌঁছার আগেই কার্তিকের মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়৷ শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কার্তিকের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কার্তিকের পরিবারের পক্ষ থেকে কার্তিকের স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সঠিক তদন্তে দাবি জানিয়ে কৈলাসহর থানার দ্বারস্থ হয় তার পরিবার৷ অপরদিকে কার্তিকের এই অকাল মৃত্যুর জন্য কার্তিকের মামা ও মামাতো ভাই দায়ী বলে কার্তিকের স্ত্রী অনুমতি দাস ইরানি থানায় অভিযোগ করে৷
কার্তিকের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে কৈলাসহর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক চন্দ্র সাহা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ পুলিশ প্রাথমিক অভিযোগ ও তদন্ত মূলে কার্তিকের মামাতো ভাই সৌভাগ্যকে গ্রেপ্তার করে৷ এ ব্যাপারে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক চন্দন সাহা জানিয়েছেন উভয়পক্ষের থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে৷

