রাঁচি, ৩০ নভেম্বর (হি.স.) : বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা বাদ দিলে ঝাড়খন্ডে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৬৪.৪৪ শতাংশ। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৬৩.২৯। প্রথম দফায় সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে লোহারদাগায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭১.৪৭ শতাংশ । সব থেকে কম ভোট পড়েছে ৫৬.৫৯ শতাংশ।
দুপুর তিনটে পর্যন্ত চতরায় ৫৬.৫৯ শতাংশ, গুমলা ৬৭.৩০ শতাংশ, বিষণপুর ৬৯.০৪ শতাংশ, লোহারদাগা ৭১.৪৭ শতাংশ, মানিকা ৬২.৬৬ শতাংশ, লাতেহার ৬৭.২ শতাংশ, পাঙ্কি ৬৪.১ শতাংশ, ডালটনগঞ্জ ৬৩.৯ শতাংশ, বিশ্রামপুর ৬১.৬ শতাংশ, ছাত্তারপুর ৬২.৩ শতাংশ, হুসেনাবাদ ৬০.৯ শতাংশ, ঘারওয়া ৬৬.০৪ শতাংশ, ভবনাথপুর ৬৭.৩৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম দফায় ভাগ্য নির্ধারণ হবে ঝাড়খন্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ড. রামেশ্বর ওরাও, বিজেপি সুখদেও ভগত, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রবংশী, রাঁধা কৃষ্ণা কিশোর, কুশওয়া শিবপুজন, ভানু প্রতাপ শাহি। প্রথম দফায় ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১২টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। হুসেনাবাদে নির্দল প্রার্থী বিনোদ সিংকে সমর্থন করছে বিজেপি। অন্যদিকে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা লড়ছে চার, কংগ্রেস ছয় এবং আরজেডি তিনটে আসনে। উল্লেখ করা যেতে পারে এই তিনদল বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে লড়ছে। ১৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাওবাদী প্রভাবিত কেন্দ্রগুলি হল লাতেহার, লোহারদাগা, চতরা, গুমলা, মানিকা, পাঙ্কি, ডালটনগঞ্জ।
উল্লেখ করা যেতে পারে ডাল্টনগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কে এন ত্রিপাঠি পিস্তল বের করে বুথের সামনে ঘুরলেন বলে অভিযোগ। যদিও তাঁর দাবি, হামলায় নিজের রক্ষা করেছি। এই ঘটনার তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এর আগে বুথে ঢুকতে গেলে ত্রিপাঠিকে বাধা দেয় কয়েকজন। অভিযোগ তারা বিজেপি কর্মী। তখন রক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যান।
তারপরে নিজেই পিস্তল বের করেন প্রাক্তন মন্ত্রী কে এন ত্রিপাঠি। তাঁকে ঘিরে রাখেন রক্ষীরা। শনিবার সকাল থেকে মাওবাদী হামলা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ডাল্টনগঞ্জের কিছু এলাকায়।
এদিন রাজ্যের চিফ ইলেকটোরাল অফিসার বিনয় কুমার চৌবে জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতির বড় কোনও খবড়র নেই। আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে বচসা হয়েছে। মোট ৪৮৯২ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৪০৬২ স্পর্শকাতর বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।