BRAKING NEWS

হায়দরাবাদের ঘটনায় দিল্লি পুলিশকে নোটিস দিল্লি মহিলা কমিশনের

হায়দরাবাদ, ৩০ নভেম্বর (হি.স.) : হায়দরাবাদের ঘটনায় দিল্লিতে প্রতিবাদ দেখিয়ে অভিযোগ, পুলিশি নিগ্রহেরও শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ দিল্লির সংসদ ভবনের বাইরের রাস্তায় ধরনায় বসা অনু দুবে নামে এক তরুণীকে । ওই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন। ওই ঘটনার জেরে দিল্লির তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

হায়দরাবাদের শামশাবাদে মহিলা পশুচিকিত্সককে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় উত্তাল তেলেঙ্গানা সহ সারা দেশ  | ঘটনার আঁচ পরেছে রাজধানী দিল্লিতেও | এই ঘটনার প্রতিবাদে দিল্লির সংসদ ভবনের বাইরের রাস্তায় ধরনায় বসেন এক তরুণী ।  যদিও কিছু ক্ষণ পরেই পুলিশ তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যায় | অভিযোগ, পুলিশি নিগ্রহেরও শিকার হতে হয়েছে অনু ডুবে নামে ওই তরুণীকে।  ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন। চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগ, ‘‘মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে মারধরও খেতে হয়েছে অনুকে।’’ কেন অনুর সঙ্গে এমন আচরণ করা হল, তা নিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে নোটিসও পাঠিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন। ওই ঘটনার জেরে অবশ্য পরে তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

এদিন সংসদ ভবনের দুই ও তিন নম্বর গেটের সামনে ফুটপাতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে পড়েন অনু। তাঁর হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘কেন আমার দেশ ভারতে আমি নিরাপদ নই?’ তবে নিরাপত্তারক্ষীরা অনুকে বেশি ক্ষণ সেখানে বসে থাকতে দেননি। নিরাপত্তারক্ষীরা অনুকে যন্তর মন্তরে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে বলেন। অনু নারাজ হলে, তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পার্লামেন্ট স্ট্রিট পুলিশ স্টেশনে। বেশ কিছু ক্ষণ পর অনুর বক্তব্য শুনে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অনু পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি সরকারি কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান।

দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছেন, ‘‘হায়দরাবাদের ওই ভয়ঙ্কর ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন এক কলেজ-ছাত্রী। তাঁকে আটকে রেখে মারধর করল পুলিশ। আমি থানায় গিয়ে অনুর সঙ্গে দেখা করেছি। দেখেছি, ও ভয়ে কাঁপছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই এই পরিণতি হবে সকলের?’’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি কালভার্টের নীচ থেকে ওই তরুণী চিকিত্সকের আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কল্লরু গ্রামের একটি পশু হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শামশাবাদ টোল প্লাজার কাছে নিজের স্কুটারটি পার্ক করে একটি ভাড়ার ট্যাক্সি নিয়ে গোচিবাওলিতে এক চর্ম চিকিত্সকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন স্কুটারের পিছনের চাকা পাংচার হয়ে গিয়েছে। রাত তখন ৯টা বেজে গিয়েছিল। তরুণী তাঁর বোনকে জানিয়েছিলেন দুই ট্রাকচালক স্কুটারটি সারাতে তাঁকে সাহায্য করবে বলছে। তখনই তাঁর বোন তরুণীকে ট্যাক্সি ধরে বাড়ি ফিরে আসার কথা বলেন। পুলিশকে তরুণীর বোন জানিয়েছেন, ওটাই ছিল তাঁদের দু’জনের মধ্যে শেষ কথা। দিদি না ফেরায় বোন ফের রাত ১০টা নাগাদ ফোন করেন। কিন্তু মোবাইল বন্ধ ছিল। পর দিন সকালে শামশাদের আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের নীচে তরুণী চিকিত্সকের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *