নিজস্ব প্রতিনিধি , আগরতলা, ২০ নভেম্বর৷৷ কৈলাসহর মহিলা থানার ওসি অভব্য আচরণ ঘিরে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ক্ষুব্ধ মহিলারা৷ ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার পর এবং লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ এমনকি মামলাও থানায় রেজিস্ট্রি হয়নি লিখিত অভিযোগ করার পর৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার মহিলারা কৈলাসহর মহিলা থানা ঘেরাও করলেন৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2016/10/Tripura-Police.jpg)
মহিলা থানার ওসি অর্পনা দেবনাথ অভব্য এবং খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ৷ প্রায় তিন ঘণ্টা ঘেরাও এর পর মহিলা থানার ওসি চাপে পরে মামলা রেজিস্ট্রি করেন৷ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি মহিলা থানা আসামীদের গ্রেপ্তার না করে তাহলে আগামীকাল এলাকার মহিলারা কৈলাসহরের মূল রাস্তা অবরোধ করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন৷ কৈলাসহরের বনেদি সুকল হিসেবে পরিচিত নেতাজী বিদ্যাপীঠ ইংরেজি মিডিয়াম হাই সুকল৷
গত সোমবার সুকলের ক্লাস নাইনের দুই ছাত্রের মধ্যে মারপিট হয়েছিল৷ পরবর্তী সময়ে এদিনই অর্থাৎ সোমবারেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীত দত্ত দুই ছাত্রকে ডেকে এনে ঘটনার নিষ্পত্তি করেছিলেন৷ কিন্তু সোমবার রাতে এই ঘটনার জের ধরে ছাত্রের মা শিপ্রা ঘোষ সহ পাঁচজন মিলে কৈলাসহরের পদ্মেরপাড় এলাকার রীনা শর্মার বাড়িতে রাত্রিবেলা ঢুকে রীনা শর্মার ছেলেকে মারধোর করে ও রীনা শর্মাকেও মারধোর করে ৷ রীনার শ্লীলতাহানী করে পালিয়ে যায়৷ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই রীনা শর্মা মহিলা থানায় ফোন করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এবং পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে লিখিত অভিযোগ করে থানায়৷ মহিলা থানা ওসি অর্পনা দেবনাথ আসামী গ্রেপ্তার করেনি এবং মামলাও রেজিস্ট্রি করেনি৷
পদ্মেরপাড় এলাকার মহিলারা বুধবার সকাল এগারোটায় মহিলা থানা ঘেরাও করে আসামী কেন গ্রেপ্তার হল না এবং মামলা কেন রেজিস্ট্রি হল না তা জানতে চান৷ তাতে মহিলা থানার ওসি অর্পনা দেবনাথ এলাকার মহিলাদের সাথে চূরান্ত খারাপ এবং অভব্য আচরণ করে বলে রীনা শর্মা সহ অন্যান্য মহিলারা অভিযোগ করেন৷
এবিষয়ে সুকলের প্রধানশিক্ষক অসীত দত্তকে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি ঘটনা স্বীকার করে বলেন, সুকলে সোমবারে যে ঘটনা হয়েছিল সেই ঘটনার মীমাংসা সোমবারেই হয়েছে৷ এরপর উনি সুকলের কোনো শিক্ষককেই রীনা শর্মার বাড়িতে পাঠাননি বলে জানান৷
শিপ্রা সহ যে পাঁচজন রীনা শর্মার বাড়িতে ঢুকে হাঙ্গামা এবং শ্লীলতাহানী করেছে এরমধ্যে পার্থ সারর্থী দত্ত, বিকাশ মালাকার এবং সংগীত মালাকার নামে তিনজন শিক্ষক রয়েছে বলে অভিযোগ৷ এরমধ্যে পার্থ সারথী দত্ত নেতাজী বিদ্যাপীঠেরই শিক্ষক৷ কৈলসহর মহিলা থানার ওসি অর্পনা দেবনাথের বিরদ্ধে কৈলাসহরের মানুষ প্রচন্ড ক্ষোব্ধ৷ যেকোনো সময় ওসি অর্পনা দেবনাথকে নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে৷ খোদ মহিলারা শ্লীলতাহানীর শিকার হয়ে মহিলা থানায় এসে বিচার পাচ্ছে না৷