নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ নভেম্বর৷৷ রাজ্যে কালচ্যালের হাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ তাতে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল উপকৃত হবে৷ সোমবার বইমেলার প্রস্তুতিসভায় এ-কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ এদিকে, বইমেলায় সমাজের সকল অংশের মানুষের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত হোক চেয়েছেন তিনি৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/Chief-Minister-Biplab-Kumar-Deb-chaired-a-meeting-for-upcoming-Book-fair-2020-at-Rabindra-Satabarshiki-Bhavan-on-Nov-11-2-1024x683.jpg)
এদিন তিনি বলেন, বইমেলার সার্থকতা হলো বই পিপাসুুদের সার্বিক অংশগ্রহণ৷ পাঠকের সংখ্যা যত বাড়বে সমাজ ততই সমৃদ্ধ হবে৷ তাই বইমেলায় সমাজের প্রত্যেক অংশের মানুষের অংশগ্রহণকে সুুনিশ্চিত করতে হবে, চাইছেন তিনি৷ এদিন সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হবে ৩৮তম আগরতলা বইমেলা৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সভায় আলোচনা করতে গিয়ে এবারের বইমেলা হাঁপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন৷ বারোদিনব্যাপী এই মেলা চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত৷ প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলা৷ এবারের বইমেলায় ১৫২টি স্টল খোলা হবে৷ তাছাড়া ১২টি বিভিন্ন বিষয়ে দেওয়া হবে পুরস্কারও৷ প্রস্তুতি সভায় আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বইমেলায় লোক সমাগম বৃদ্ধি করতে সারা রাজ্যে বইমেলার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে৷ বইমেলায় রাজ্যের ৮টি জেলাভিত্তিক সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান করার জন্য সভায় পরামর্শ দেন তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনও অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য পূর্বের ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোতে হবে৷ তাঁর মতে, বইমেলাকে নিয়ে কখনোই রাজনীতি করা উচিত নয়৷ তাই, বইমেলায় বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত, পরামর্শ দেন তিনি৷ বইমেলায় কি ধরনের বই বিক্রি করা হবে তার উপরও আয়োজকদের নজর রাখার জন্যও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ব্যতীত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে কালচার্যাল হাব নেই৷ রাজ্যে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ধরনের হাব তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ যেখানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৮টি রাজ্যের সংসৃকতির বিকাশে কাজ হবে৷
আগরতলা বইমেলার প্রথম প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ সভায় এছাড়াও আলোচনা করেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র ড় প্রফুল্লজিৎ সিনহা, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুুবল কুমার দে ও সম্পাদক প্রণব সরকার, রাজ্য উচ্চশিক্ষা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ড় অরুণোদয় সাহা, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের সচিব এম এল দে সহ অন্যান্যরা৷
আজকের এই প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা৷ বইমেলার প্রেক্ষাপট নিয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস৷ সভায় বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ, সাংসৃকতিক ব্যক্তিত্ব, রাজ্যের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন৷ সভায় ৩৮তম আগরতলা বইমেলার সফল আয়োজনের লক্ষ্যে ১টি আয়োজক কমিটি, ১টি স্টিয়ারিং কমিটি ও ৮টি সাব-কমিটি গঠনের উপর প্রস্তাব করা হয়৷ এই আলোচনাসভায় উত্থাপিত বিভিন্ন প্রস্তাবিত বিষয়গুলি পর্যালোচনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য পরবর্তীতে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার চেয়ারম্যানশিপে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির কাছে পাঠানো হবে৷