নয়াদিল্লি, ৩১ অক্টোবর (হি.স.) : ভারত কীভাবে সন্ত্রাসবাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে চলেছে তা ব্যাখ্যা করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদদের জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে যাওয়া। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে। পাশাপাশি ভারত তথা উপমহাদেশে বাস্তব পরিস্থিতি কি তাও অবগত করানো প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার।
বৃহস্পতিবার রবীশ কুমার জানিয়েছেন, ইউরোপীয় সংসদের সদস্যদরা কাশ্মীরের যাওয়ার ফলে বিষয়টি আন্তর্জাতিকীকরণ হয়নি। উল্টে সন্ত্রাসবাদ যে ভারতের জন্য সব থেকে বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
এই সফরে আরও সুস্পষ্ট অবস্থান উপস্থাপন করে মুখপাত্র বলেছেন যে বিশ্বজুড়ে নেতারা ভারতে আসেন। এগুলি কখনও সরকারী এবং কখনও ব্যক্তিগত সফর হয়। বিদেশমন্ত্রক জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় করেই দুই ধরণের সফরকে সুবিধা প্রদান করে থাকে। এ জন্য, মন্ত্রক এই ধরণের সফরের পিছনে উদ্দেশ্য, বিষয়বস্তু এবং বাস্তবিক অবস্থান বিবেচনা করে থাকে। তিনি জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রনীতির অধীনে নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে এবং বৃহত্তর সম্পর্ক বিকাশের জন্য বিদেশমন্ত্রক বিভিন্নভাবে কাজ করে। এতে মিডিয়া, সমাজ এবং এনজিওর পক্ষে কাজ করে এমন লোকেরও সহায়তা নেন।
মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইউরোপীয় সংসদ সদস্যরা ভারত এবং এখানকার পরিস্থিতি জানার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এই সংসদ সদস্যরা জম্মু ও কাশ্মীর সফর শেষে তাদের বিবৃতিতে বলেছিলেন যে তারা রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতি জানতে পেরেছেন এবং আরও জানতে পেরেছেন যে কীভাবে সন্ত্রাসবাদ ভারতের জন্য হুমকী হয়ে উঠেছে।