BRAKING NEWS

হোয়াটস্যাপে তিন তালাক, পুলিশের দ্বারস্থ নির্যাতিতা স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৩০ অক্টোবর৷৷ উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র এরপর তিন তালাকের মামলা এবার ত্রিপুরায়৷ সৌদি আরব থেকে স্ত্রীকে হোয়াটস্যাপে তিনবার তালাক তালাক তালাক বলে সম্পর্ক ছিন্ন করে আবুল হোসনে(৩৫) নামের এক যুবক৷ এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে উত্তরের কদমতলা থানা এলাকায়৷ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কদমতলা থানায় সালমা বেগম(২৩) নামের এই মামলা করে৷ মামলা নম্বর ৬০/১৯/কেডিএল/পিএপতার বিরুদ্ধে ইউ এস-৪৯৮(এ) আইপিসি/৪ অফ দি মুসলিম ওম্যান প্রটেক্ট অফ রাইট অন মেরিড অ্যাক্ট ২০১৯ ধারায় মামলা লিপিবদ্ধ হয়৷ পুলিশ শুধু আব্দুল হোসেনের নামে মামলা নেয়নি তার পিতা মাতা ও বোনের নামেও মামলা নিয়েছে৷ তিন তালাকের নিপীড়িত সালমা জানায় এ মাসের ২৭ তারিখ তার স্বামী সৌদি আরব থেকে হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে তাকে তালাক দেয়৷

সে সময় সে শ্বশুরবাড়িতে ছিল না বাপের বাড়িতে ছিল৷ তার কারণ হিসেবে সালমা জানায়, শ্বশুরবাড়িতে স্বামী আব্দুল হেসেনের দ্বারা এক ব্যক্তি নিয়োগ করা হয়৷ সালমার সেই ব্যক্তির নাম বলেনি তবে সেই ব্যক্তির মাধ্যমে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে৷ ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর কদমতলা থানাধীন জোলাইবাড়ি এলকার বাসিন্দা আব্দুল রহিমের পুত্র আব্দুল হোসেনের সাথে আসামের করিমগঞ্জ জেলার বাজারি ছড়া থানা এলাকার কুর্তি গ্রামের মুজিবুর রহমানের মেয়ে সালমার সাথে মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুসারে বিবাহ হয়৷ বিয়ের পর ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে আবুল হোসেন সৌদি আরবে যায় তারপর ২৯মে ২০১৯ ইং তারিখে জলাইবারি স্থিত নিজ বাড়িতে পিরে আসার তিন মাস পর পুনরায় স্বামী আবুল হোসেন সৌদি আরব চলে যায়৷ তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক ছিল না ৷

প্রায়ই চলত সালমার উপর নর্যাতন বলে অভিযোগ৷ হোয়াটস্যাপের একটি মেসেজ তাতে লেখা ছিল তালাক, তালাক, তালাক৷ আর তখনই ভেঙ্গে যায় সালমার সোনার সংসার৷ সে বিচারের আশায় কদমতলা থানার দ্বারস্থ হয়েছে৷ দেশে তিন তালাক বিল পাস হয়েছে৷ সাহ ভানু শুরু করে মুসলিম মহিলাদের অধিকার পাওয়ার লড়াইয়ে যারা ছিলেন যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা ভেবেছিলেন আইন হলে বিল হলে তিন তালাকের মতো জঘন্য এই জিনিসটা থাকবে না কিন্তু কই এখনো রয়ে গেছে সেই ধর্মীয় গোঁড়ামি৷ সুবিচার পাবে কি সালমা৷ সে এখন আশায় দিন গুনছে৷ কি হবে তার ভবিষ্যৎ৷ এ বিষয়ে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার জানান মামলা হয়েছে তদন্ত চলছে শুধু ছেলে নয় তাদের পরিবারের আরও তিনজন অর্থাৎ শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ৷ কদমতলা থানার পুলিশ ঘটনাটি সুক্ষ্মভাবে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *