নয়াদিল্লি, ২৮ অক্টোবর (হি.স.) : আকাশসীমা ব্যবহারে বাধা দেওয়ায় এবার পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থায় টেনে নিয়ে গেল দিল্লি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমানকে পাক আকাশসীমা ব্যবহার করতে না দেওয়ায় ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গ্যানাইজেশন (আইসিএও)-কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সোমবার সৌদি-সফরে যাওয়ার কথা মোদীর। একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসভায় যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। সৌদি আরবের বার্ষিক বিনিয়োগ ফোরামের মূল বক্তাও মোদী।
একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ‘ভিভিআইপি বিশেষ বিমান যাকে সাধারণ ক্ষেত্রে অন্য যে কোনও দেশ আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়, তাকে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে বাধা দেওয়াটা দুঃখজনক। আইসিএও-র নির্দেশিকা অনুযায়ী অন্যান্য দেশগুলির আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেওয়াটাই নিয়ম। তবে পাকিস্তান তা না দেওয়ায় বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থায় জানিয়েছি।’ আইসিএও-র চার্টারে বলা আছে, যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ ক্ষেত্রে কোনও দেশকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে বাধা দেওয়া যাবে না। এই কাজ করার জন্য মোটা অংকের জরিমানা হতে পারে পাকিস্তানের। কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পারদ আরও চড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান। সৌদি আরবে যেতে পাক আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল নয়াদিল্লি। রবিবার পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের আকাশপথ ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কাশ্মীরিদের কালা দিবস পালন এবং ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নজরে রেখে আমরা সেই অনুমতি দিইনি।’ কুরেশি জানান, আবেদন খারিজের বিষয়টি ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে রবিবার কাশ্মীর নিয়ে ‘কালা দিবস’ পালন করছে পাকিস্তান। ফলে মোদীকে আকাশপথ ব্যবহারে বাধা দেওয়া বাড়তি তাৎপর্য পাচ্ছে। পাকিস্তানের দাবি, ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর বেআইনি ভাবে কাশ্মীর দখল করেছিল ভারত। তার প্রতিবাদে প্রতি বছর এই দিনটিতে নিয়ন্ত্রণরেখার দু’পাশ এবং পৃথিবীর সর্বত্র কাশ্মীরিরা কালা দিবস পালন করেন। পাক সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, রবিবার কাশ্মীরে পুরোপুরি বন্ধ পালিত হয়েছে।