নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ অক্টোবর ৷৷ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সরকার পরিবর্তনের পরও চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না৷ উপমুখ্যমন্ত্রীর এলাকা চড়িলাম দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে স্থানীয় একটি ক্লাবের নামে উত্তম দেবনাথ ও মানিক ওরফে মালুরা দুর্গাপুজার আগেও পুজার নামে মোটা অঙ্ক চাঁদা নিয়ে যায়৷ ইদানিং গত ১৭ অক্টোবর আবার তারা আরও মোটা অংকের চাঁদা দেওয়ার জন্য সুকল কর্তৃপক্ষের উপর চাপ দিতে থাকে৷
তারপর নানাভাবে কৌশলে সুকল কর্তৃপক্ষ থেকে ১৭ অক্টোবর আরও দশ হাজার টাকা বাগিয়ে নেয়৷ সুকলের প্রধান শিক্ষক দিলীপ চন্দ্র দাস উত্তম দেবনাথের নামে দশ হাজার টাকার চেক ইস্যু করেন৷ এই ঘটনা জানাজানি হলে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে দু’দিনব্যাপী বিক্ষোভ শুরু করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্বরা৷ মঙ্গলবার তারা সুকলে পঠনপাঠন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় সুকলের প্রধান শিক্ষককে৷ তাদের দাবি যতক্ষণ না সুকলের এসএমসি কমিটি এই চাঁদাবাজির ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না করে ততক্ষণ তারা সুকলে পঠনপাঠনের কাজ চালিয়ে যেতে দেবেন না৷
এদিকে কেন সুকল কর্তৃপক্ষ এত মোটা অংকের চাঁদা বার বার দিচ্ছে এনিয়ে সুকল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ণ উঠছে৷