নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ অক্টোবর৷৷ পূজার কেনাকাটায় মন্দার জন্য বৃষ্টিকে দায়ী করল অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন৷ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুজিত রায়ের কথায়, কয়েকদিন ধরে অনবরত বৃষ্টিতে বাজারে লোক সমাগম হচ্ছে না৷ তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে উচ্চ হারে ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায়ের সিদ্ধান্ত ত্রিপুরা সরকার প্রত্যাহার করে নেবে বলে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আশ্বাস দিয়েছেন৷

আজ সাংবাদিক সম্মেলনে সুজিতবাবু বলেন, ত্রিপুরা সরকারের নয়া ট্রেড লাইসেন্স ফি কাঠামো নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল৷ রাজ্যের প্রত্যেক ব্যবসায়ী আতঙ্কিত ছিলেন, বিপুল অঙ্কের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবেন৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরা সরকারের নয়া কাঠামো অনুসারে ফি মিটিয়ে দিতে গেলে ব্যবসা করা দায় হবে৷ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠন মিলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছি৷
তিনি জানান, গত সন্ধ্যায় অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ১২ জনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেছি৷ সুজিত বলেন, ত্রিপুরায় ট্রেড লাইসেন্স ফি নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ এতে পুরনো পদ্ধতিতেই ট্রেড লাইসেন্সের ফি ধার্য করার অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, নয়া ফি কাঠামোর জন্য ব্যবসায়ীদের ভীষণ সমস্যার মুখে পড়তে হবে, সে-কথাও মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানো হয়েছে৷ তিনি আমাদের সমস্যা অনুভব করতে পেরেছেন এবং ফি কাঠামোর নয়া সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷ সুজিতবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী নগরোন্নয়ন দফতরের সচিবকে দেওয়ালির পর ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে নতুন ফি কাঠামো নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, রাজ্যের আয় এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধা দুটোই চিন্তার মধ্যে রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বলেন সুজিত রায়৷
এদিকে, পূজার কেনাকাটায় মন্দার জন্য বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুজিত রায়৷ তাঁর দাবি, গত কয়েকদিন ধরে আকাশ গুমোট বেঁধে রয়েছে৷ ফলে, সারাদিনই বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ বৃষ্টির জন্য মানুষ বাজারে আসতে পারছেন না৷ ফলে বিক্রিতে কিছুটা প্রভাব পড়েছে৷ এদিন তিনি জানান, মাঝে পূজার কেনাকাটায় বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল৷ জিনিসপত্র বিক্রিও হয়েছে তরতর করে৷ অবশ্য আর্থিক মন্দাও এই পরিস্থিতির কিছুটা দায়ী বলে তিনি দাবি করেন৷ তাঁর কথায়, আর্থিক মন্দার প্রভাব গোটা দেশে পড়েছে৷ ফলে, ত্রিপুরাও এর প্রভাব থেকে বাদ যায়নি৷ তবে, প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছে জিনিসপত্র যথেষ্ট মজুত রয়েছে৷

