পূর্ত দপ্তরে অনিয়মের মামলায় চার্জশিট দাখিল করল ক্রাইম ব্রাঞ্চ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ সেপ্ঢেম্বর ৷৷ ফ্লাইওভার ও কাটাখাল স্টিল ব্রীজ নির্মাণে অনিয়মের তদন্ত শেষে চার্জশিট জমা দিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ৷ ওই অনিয়মের ঘটনায় পূর্ত দপ্তরের পরিকল্পনা শাখার এডিসন্যাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার অলক রঞ্জন চৌধুরী গ্রেফতার হয়েছেন৷ তাকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত৷ এছাড়া, প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার-ইন চিফ সুনীল ভৌমিক এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার সৌমেশ চন্দ্র দাস গ্রেফতার হলেও তারা জামিন পেয়েছেন৷ ত্রিপুরা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ অনিয়মের মামলায় সাত মাসে তদন্ত প্রক্রিয়া সমাপ্ত করেছে৷


ত্রিপুরা পুলিশ আজ এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, ড্রপ গেট থেকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত ২.২৬ কিমি ফ্লাই ওভার নির্মাণ এবং কাটা খাল স্ট্রিল ব্রীজ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে৷ ভুল পদ্ধতি এবং ক্রুটিপূর্ণ সুকটিনির জন্য পূত দফতরের অতিরিক্ত ১৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে৷ এছাড়া সঠিক ভাবে সুকটিনি না করে ফ্লাইওভারের ডিপিআর জমা দেওয়ায় রাজ্য সরকারের ২৬ কোটি ২৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৮৯ টাকা অহেতুক খরচ হয়েছে৷


বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ওই অনিয়মের ঘটনায় পূর্ত দপ্তরের তদানিন্তন ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ সুনীল ভৌমিক এডিসন্যাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার অলক রঞ্জন চৌধুরী এবং সুপারিটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অলক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৮৮ এবং ভারতীয় দন্ডবিধি ১২০-বি ধারায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া, পূর্ত দপ্তরের তদানিন্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার সৌমেশ চন্দ্র দাস এবং এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ ভদ্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনি ১৯৮৮ এর ধারা ১৩(২) সাথে ধারা ১৩(১)(ডি) মূলে চার্জশিজ জমা দেওয়া হয়েছে৷


ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে, অনিয়মের মামলায় অভিযুক্ত তদানিন্তন এডিশন্যাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার অলক রঞ্জন রায় চৌধুরীকে গ্রেফতারের পর চার্জশিট সহ আদালত সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেপাজতে পাঠিয়েছে৷ এদিকে, সুনীল ভৌমিক এবং সৌমেশ চন্দ্র দাস ত্রিপুরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন৷ তাই তাদের গ্রেফতারের পর জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ ত্রিপুরা পুলিশ দাবি করেছে, ওই অনিয়মের মামলায় সাত মাসের মধ্যেই সমস্ত তদন্ত প্রক্রিয়া সমাপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ৷