কলকাতা, ১ অক্টোবর (হি. স.) : বাংলায় জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) হলেও অসমের মতো কোনও হিন্দুকে রাষ্ট্রহীন হতে হবে না। একজন হিন্দু শরণার্থীকেও দেশ ছাড়তে হবে না। বৈধ নাগরিকরা একদম ভয় পাবেন না| মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে এনআরসি নিয়ে আয়োজিত সভায় এমনই আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
এনআরসি নিয়ে বাংলায় গত কয়েকদিন ধরে যে ‘ত্রাহি-ত্রাহি’ রব উঠেছে, তার জন্যও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলে পাল্টা তোপ দেগেছেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কথায়, “এনআরসি নিয়ে মিথ্যাচার করছেন মমতা দিদি। এনআরসি হলেও যাতে কোনও হিন্দু-বৌদ্ধ-ক্রিস্টান ও জৈন শরণার্থীকে দেশ ছাড়তে না হয়, তার জন্য আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) এনে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।“
এনআরসি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বঙ্গ রাজনীতিতে তৃণমূল বনাম বিজেপির কাজিয়া তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুংকার ছেড়েছেন, “বাংলায় কোনও মতেই এনআরসি করতে দেব না।“ দিলীপ ঘোষ-কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ রাজ্য বিজেপির নেতারা পাল্টা হুমকি দিয়েছেন, ‘পশ্চিমবাংলায় ১০০ শতাংশ এনআরসি হবে। কিন্তু কোনও হিন্দুকে তাড়ানো হবে না।” মানুষকে আশ্বাস দিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি এনে সভা করানোর সিদ্ধান্ত নেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে হিন্দুদের আশ্বাস দেন অমিতবাবু।
তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এনআরসি নিয়ে মিথ্যাচার করছেন মমতা। তিনি বলছেন, এনআরসির নামে নাকি হিন্দু শরণার্থীদের দেশ থেকে তাড়ানো হবে। এর চেয়ে বড় মিথ্যা কিছু হতে পারে না। হিন্দু শরণার্থীদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এক বার যে যন্ত্রণা তাঁরা ভোগ করেছেন, দ্বিতীয়বার যাতে তা না ভোগ করতে হয়, তার জন্য প্রথমে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এদেশের নাগরিকদের সমান অধিকারই পাবেন তাঁরা।”