গুয়াহাটি, ৩০ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : পুজোর আনন্দ ম্লান করতে পারে বৃষ্টি। পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী চারদিন অসম-সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নবরাত্রি ও দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের খবর, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অসমে, মেঘালয়, ত্রিপুরা-সহ উত্তরপূর্বের সমস্ত রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এমনিতেই গত দু-দিন ধরে ভারী ও হালকা বৃষ্টির ফলে পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দুর্গা প্রতিমা তৈরির সঙ্গে যুক্ত মৃৎশিল্পী, মণ্ডপসজ্জার কারিগররা নাজেহাল হচ্ছিলেন। তার ওপর আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের পূর্বাভাসে সংশ্লিষ্টদের মাথায় হাত পড়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজার প্রাক্কালে গুয়াহাটির সমস্ত মণ্ডপে চলেছে অন্তিম পর্যায়ের সাজসজ্জার কাজ। মহানগরের কুমারপাড়াগুলিতেও চলছে অন্তিম পর্যায়ের কাজ। মহালয়ার দিনই মায়ের চক্ষু দান করা হয়েছে। এর পর রং ও বাকি কাজ শেষ করেন মৃৎশিল্পীরা।
এমনিতেই বিভিন্ন সমস্যাষ় জর্জরিত মৃৎশিল্পীরা। বাজারে সমস্ত জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। আগে যে-সমস্ত জিনিসের ট্যাক্স দিতে হত না, এখন সে-সব জিনিসের ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। এ সম্পর্কে পাণ্ডু এলাকার কুমারপাড়ার জনৈক মৃৎশিল্পী ধীরেন পাল বলেন, মায়ের প্রতিমার রং, কাপড়, গয়না, সাজানোর অন্যান্য সামগ্রীর দাম আগে অনেক কম ছিল, ট্যাক্স দিতে হত না। কিন্তু এবার সমস্ত সামগ্রীর দাম ভীষন বেড়ে গেছে। ফলে মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের।
এদিকে প্রতিমা তৈরির উপকরণ যেমন বাঁশ, মাটি ইত্যাদির দামও বেড়ে গেছে। এর ফলে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না মৃৎশিল্পীরা। ধীরেন পাল ডাকের সাজের সাথে আটচালার প্রতিমা বানান। এর পাশাপাশি কালী, লক্ষ্মী, গণেশ, বিশ্বকর্মা, মানসা-সহ অন্যান্য দেবদেবীর প্রতিমাও তৈরি করেন পুরো বছর। কিন্তু দিনে আট-দশ ঘণ্টা কাজ করেও পুজোর সময় আশানুরূপ বাড়তি টাকা রোজগার করতে পারেন না তাঁরা। এর পর কারিগরের মজুরিও প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। এর ফলে নবপ্রজন্ম এই ব্যবসায় আসতে চাইছে না। আক্ষেপ করেন ধীরেন পাল।