গুয়াহাটি, ২০ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ৫৮ হাজার কোচ-রাজবংশীর নাম। তাই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং এনআরসি-ছুটদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ও রাজ্যের ছয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে জনজাতির মর্যাদার প্রদানের দাবিতে সারা অসম কোচ-রাজবংশী ছাত্ৰ সংস্থা সংক্ষেপে আক্ৰাসু আহূত সকাল পাঁচটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শুক্রবারের ১২ ঘণ্টার অসম বনধ নিম্ন অসমের কোথাও কোথাও সর্বাত্মক হলেও উজান অসমে মিশ্র প্রভাব পড়েছে। তবে গুয়াহাটি-সহ মধ্য অসমের বেশিরভাগ এলাকা এবং বরাক উপত্যকায় বনধ-এর কোনও প্রভাব পড়েনি, জনজীবন ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
প্রভাবিত এলাকায় আজ সকাল ৫-টা থেকে বনধ-এর সমৰ্থকরা রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে তাদের দাবির সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বনধ-এর প্ৰভাব গুয়াহাটি, বরাক উপত্যকার তিন জেলা কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে না পড়লেও নিম্ন অসমের ধুবড়ি, চাপর, বাসুগাঁও, কোকরাঝাড়ের কয়েকটি অঞ্চল, অসম–পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী ছাগলীয়া, মধ্য অসমের জাগিরোড, মরিগাঁওয়ে সৰ্বাত্মক হয়েছে। ছাগলিয়ার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার পুড়িয়ে প্ৰতিবাদ করেন আক্ৰাসু সদস্যরা। তারা এনআরসি-র সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিয়ে পরিবেশ উত্তাল করে তুলেন। বনধ-এর জেরে শ্ৰীরামপুরে আটকে পড়ে অসংখ্য হালকা ও ভারী যানবাহন।
এদিকে মরিগাঁও–নগাঁও এবং মরিগাঁও–জাগিরোড পূর্ত সড়কেও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বনধ সমৰ্থকরা। তাছাড়া কোকরাঝাড়ের গোসাঁইগাঁওয়েও বনধ সৰ্বাত্মক হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে উজান অসমের শিবসাগর শহরের প্ৰগতি চারআলি, স্টেশন চারআলি, দৌলমুখ চারআলি প্রভৃতি বিভিন্ন স্থানে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে প্ৰতিবাদ সাব্যস্ত করা হয়েছে।