BRAKING NEWS

গর্ভজাত ছেলের হাতে প্রাণঘাতী হামলার শিকার বৃদ্ধা মা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ সেপ্ঢেম্বর৷৷ গর্ভজাত ছেলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন মা৷ এমন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানাধীন কালাগাঙ্গের পাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিতরগুল এলাকায়৷ ছেলে অজয় মালাকারের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন গর্ভধারিণী আরতী মালাকার নামের বছর ৬০-এর এক বৃদ্ধা৷


ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, আরতিদেবীর স্বামী ও বড় ছেলে গত কয়েক বছর আগে মারা গেছেন৷ তাঁরা মারা গেলেও রেশন কার্ডে তাঁদের নাম ছিল৷ কিন্তু দ্বিতীয় ছেলে অজয় মালাকারের স্ত্রী ও কন্যার নাম রেশন কার্ডের তোলার জন্য খাদ্য দফতরে কাগজপত্র নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেন আরতীদেবী৷ যেহেতু খাদ্য দফতরের অফিস ধর্মনগরে, তাই নিজের ভাইয়ের বাড়িতে থেকে অফিসের কাজকর্ম করছিলেন তিনি৷ ইত্যবসরে ছেলে অজয় জানতে পারে, তার মায়ের নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহ বরাদ্দ হয়েছে৷ এজন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রয়োজন৷ সে ঘরে এসে তন্নতন্ন করে কাগজপত্র খুঁজে পায়নি৷ তখন সে তার মার সাথে যোগাযোগ করে৷


মা আরতিদেবী ফোন পেয়ে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে বাড়ি চলে আসেন আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২-টা নাগাদ৷ মাকে দেখে রেগে অগ্ণিশর্মা হয়ে যায় ছেলে৷ মাটিতে ফেলে লাথি, ঘুষি, কিল, চড় মারতে থাকে নিজের মাকে৷ তার ক্রোধ এত বেড়ে যায় যে রান্নার জন্য ব্যবহৃত জ্বালানি কাঠ দিয়ে আরতীদেবীর পায়ে সজোরে আঘাত করে৷ এতে মায়ের পা ভেঙে যায়৷ আরতিদেবীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ছেলে অজয়ের হাত থেকে আক্রান্তকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷ পরে মাকে দেখতে হাসপাতালে আসে হামলাকারী ছেলেও৷


এদিকে আহত আরতীদেবীর অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোমালি নাথ ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে তাঁকে রেফার করেন৷ ছেলে অজয় মালাকার নিজে স্বীকার করেছে, সে মায়ের ওপরে হাত তুলেছিল৷ অজয়ের মা হয়তো থানায় মামলা করবেন না তবে তাঁর এই পাপের ফল সে নিশ্চয়ই ভোগ করবে৷


গ্রামের বাসিন্দারা জানান, অজয় মালাকার তার মায়ের ভরণপোষণ করত না৷ দিনের পর দিন উপোস থাকতে হত গর্ভধারিণী মা আরতীকে৷ সে নাকি তার বাবাকেও এভাবে মারধর করত৷ এ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত স্তরে অনেকবার সালিশি সভা করে বিচার প্রদান করা হয়েছিল৷ কিন্তু এবার গর্ভধারিণী মায়ের ওপর অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে৷ তবে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মহলের দাবি, অপদার্থ পুত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তি প্রদান করুক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *