BRAKING NEWS

আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্প সম্পন্ন হতে বিলম্ব, নেপথ্যে নিম্নমানের কাজ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ সেপ্ঢেম্বর ৷৷ আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ ২০২১ সালের সেপ্ঢেম্বর নাগাদ স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে৷ এই রেল প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হতে ঘোষিত সময় সীমার অতিরিক্ত সময় লাগছে৷ অবশ্য, নির্মাণ কাজের বরাত সংস্থার নিম্নমানের কাজের ফলশ্রুতিতেই এই বিলম্ব বলে সূত্রের খবর৷ সম্প্রতি পরিবহন দপ্তর আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজের পর্যালোচনা করেছে৷ তাতে নির্মাণ সংস্থাকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেওয়া হয়েছে৷


প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ স্থাপনের প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল৷ ডোনার মন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্পের ভারতের অংশে এবং বিদেশমন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশের অংশে কাজ শুরু হয়৷ ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় দিকে রেল লাইন নির্মাণের নির্দিষ্ট নির্মাণকারী সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়৷ আগরতলা রেলস্টেশন থেকে নিশ্চিন্তপূর পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের ৫৮০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারিত হয়েছিল৷

তেমনি নিশ্চিন্তপুর থেকে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ৩৯২ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারিত হয়েছিল৷ ইতিমধ্যে, ভারতের অংশে ২১৭ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা এবং বাংলাদেশের অংশে ৮০ কোটি ৯৩ লক্ষ্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, জমি অধিগ্রহণ বাবদ ভারতীয় অংশে ৯৭ কোটি ৬৩ লক্ষ এবং বাংলাদেশের অংশে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল৷
এই রেলপথ নির্মাণে ভারতীয় অংশে ৫.৪৬ কিমি ইরকন সংস্থাকে নির্মাণ কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল৷ তেমনি বাংলাদেশের অংশে ৬.৫৭ কিমি অংশে নির্মাণ কাজে টেক্সমেকো রেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃকে নির্মাণ কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল৷


সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের অংশে জমি অধিগ্রহণের ধীরগতি প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হতে বিলম্বের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ শুধু তাই নয়, বেনাকূল সীমান্তে নির্মাণ সামগ্রী আমদানি বন্ধ করে রেয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷ এদিকে, ভারতীয় অংশে এনআইপিএল সংস্থাকে ২২০ কোটি টাকা নির্মাণ কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, নিম্নমানের কাজের জন্য তাদের ওই বরাত বাতিল করেছে ইরকন৷ তার বদলে স্থানীয় ঠিকাদারকে বরাত দেওয়া হয়েছে৷


সম্প্রতি, পরিবহন দপ্তরের প্রধান সচিবের নেতৃত্বে বৈঠকে দুই দেশে রেলপথ নির্মাণকারী সংস্থাকে মাস ভিত্তিক নির্মাণ কাজের রিপোট প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, লক্ষ্যমাত্রায় পৌছানোর ক্ষেত্রে কতটা সাফল্য অর্জিত হয়েছে সেই রিপোর্টও তাদের জমা দিতে বলা হয়েছে৷ পরিবহন দপ্তর দুই দেশের রেলপথ নির্মাণকারী সংস্থাকে প্রকল্পের কাজ এখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে বলেছে৷ কারণ, ইতিমধ্যে অনেকটা বিলম্ব হয়েছে৷ সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর থেকে নিশ্চিন্তপূর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে ২০২০ সালের সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে৷

তেমনি, নিশ্চিন্তপুর থেকে আগরতলা রেলস্টেশন পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে ২০২১ সালের সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে৷ এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদৌ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে কিনা সেই প্রশ্ণও রয়ে যাচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *