কলকাতা, ৩১ আগস্ট (হি.স.) : অসৎ উদ্দেশ্যে এনআরসি করে সমাজের এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছে। অসমে জাতীয় পঞ্জিকরণের চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে শনিবার এভাবেই সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |
শনিবার সন্ধে বেলা পর পর টুইট করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | সেখানে তিনি লেখেন, অসৎ উদ্দেশে এনআরসি করে সমাজের এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছে। যে সমস্ত বাঙালিদের নাম বাদ গিয়েছে এনআরসি তালিকা থেকে বিশেষ করে তাঁদের জন্য মন কাঁদছে । এদিন টুইটে তিনি আরও লেখেন, এনআরসি বিভ্রাট ওদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। এর থেকে ওরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে গিয়েছিল। গোটা দেশ জবাব চাইবে ওদের থেকে।
উল্লেখই, এর আগে ২০১৭-র ডিসেম্বরে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণের খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই সংসদীয় দলকে অসমে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুখেন্দুশেখর রায়, মমতাবালা ঠাকুর, মহুয়া মৈত্রদের বিমানবন্দরের বাইরেই বেরোতে দেয়নি অসম প্রশাসন। বিমানবন্দরের লাউঞ্জে রাত কাটিয়েই পরের দিন সকালের বিমান ধরে কলকাতায় ফিরে আসতে হয় তৃণমূলের দলকে। তারপর বিশপদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দেখা করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং –এর সঙ্গে। ক্ষোভ উগরে দেন সেখানকার মানুষের অবস্থা এবং তাঁর দলের সাংসদদের সঙ্গে অসম প্রশাসনের ব্যবহার নিয়ে।