![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/07/crime-scene-tape-1024x576.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ আগস্ট৷৷ আত্মহত্যা না পকিল্পিতভাবে হত্যা৷ পুলিশ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য৷ তবে দুই কন্যা সন্তানের মা কেন আত্মহত্যা করবে৷ পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল তার মধ্যে কন্যা সন্তান হওয়াতে পরিবার অখুশি চলত নির্যাতন৷ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ মেয়ের পরিবারের৷ ঘটনা ধর্মনগর থানা এলাকার ডুপির বন্ধ লালছড়া গ্রামের৷ মৃতের নাম সোনা দাস(২৬) স্বামী নির্মল দাস৷ ২০১১ সালে তাদের সমাজিকভাবে বিয়ে হয়েছিল৷ নির্মন দাস পেশায় চাকুরীজীবী সে বর্তমানে কদমতলা ব্লকের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সেক্রেটারি৷ সোমা দাস এর বাড়ি পানিসাগর এর পেকুছড়ায়৷
বুধবার সকাল ৯ ঘটিকার সময় সোমা ঘরের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে বলে স্বামীর পরিবারের দাবি৷ পুলিশকে খবর না দিয়ে তড়িঘড়ি ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে সোমাকে নিয়ে আসা হয় এখানের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ সোমার পরিবারের অভিযোগ তাদেরকে ফোন করে জানানো হয়েছে যে সোমার অবস্থা গুরুতর ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছে৷ কিন্তু হাসপাতালে এসে মৃতদেহ দেখতে পান৷ হাসপাতালে সোমাকে শ্বশুরবাড়ির আশপাশের লোকজন নিয়ে এসেছে৷ তাছাড়া তাদের কাছ কিভাবে আত্মহত্যা করেছে কিভাবে ঘটনা ঘটেছে প্রথমে কোন কিছুর সদ উত্তর পায় নি তারা৷ মেয়ের পরিবারের অভিযোগ ২০১১ সালে বিয়ের কিছুদিন পর শুধু হয় পনের দায়ে নির্যাতন৷ বাইক ও নগদ অর্থ চেয়েছিল নির্মল৷ মেয়ের পরিবার তা দিতে অসমর্থ হয়৷
তারপরে সোমা কোল আলো করে একটি কন্যাসন্তান৷ তারপর গত দের বছর আগে সোমার আরেকটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে সেই কন্যা সন্তানের জন্মের পর পারিবারিক কলহ আরো বেড়ে যায়৷ প্রতিনিয়ত তার ওপর নির্যাতন চলত বলে মেয়ের পরিবারের অভিযোগ৷ বুধভার তাদেরকে সঠিক কোন কিছু জানানো হয়নি তাছাড়া তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে তা দেখে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে৷ মৃতের ভাই সঞ্জয় দাস ধর্মনগর মহিলা থানায় বুধবার রাতে মামলা করেন৷
ধর্মনগর মহিলা থানা এফ আই আর রেজিস্টার করে৷ কেইস নাম্বার ২৮/১৯ ধারা ৪৯৮এ/৩০৬/৩৪ আইপিসি৷ অপরদিকে সোমা দাসের স্বামী নির্মল দাস তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন৷ তবে মেয়ের পরিবার যে অভিযোগগুলো করছে তাতে সন্দেহের তির ঘনীভূত হচ্ছে৷ বিশেষ করে মৃতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে৷ পুলিশ সঠিত তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য৷ সঠিক বিচারের আশায় আছে মেয়ের পরিবার৷