নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ আগস্ট৷৷ সেকেরকোটে নবীনটিলায় মনসা পূজার রাতে নৃশংসভাবে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দুই ভাই সঞ্জীব দাস ও রতন দাস-কে গ্রেফতার করেছে৷ আগামীকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ৷
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার আমতলি থানার ওসি সুব্রত চক্রবর্তী জানান, মনসা পূজার রাতে বাকবিতণ্ডা ঘিরে সেকেরকোটের নবীনটিলা এলাকার বাসিন্দা নকুল সাহা খুন হন৷ তিনি জানান, সঞ্জীব দাস এবং রতন দাস মনসা পূজা থেকে ফেরার পথে নকুল সাহাকে দা এবং লাঠি দিয়ে মারধর করেন৷ সাথে তার স্ত্রী, মা এবং ভগ্ণিপতি ছিলেন৷ তাকে বাঁচাতে গিয়ে তারাও আহত হন৷ তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় জনগণ ছুটে আসেন৷ তখন ওই দুই ভাই স্থানীয়দের উপরও চড়াও হন৷ তাতে নকুল সাহা-সহ আটজন আহত হন৷ সুব্রতবাবু বলেন, নকুল সাহা এবং তার মা পুস্পরানি সাহার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল৷ কিন্তু গত ১৯ আগস্ট ভোরে নকুল সাহার মৃত্যু হয়৷ ওই ঘটনায় মৃতের ভাই থানায় মামলা দায়ের করেন৷ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২/৩০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷ সুব্রতবাবু আরও বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে সঞ্জীব দাস এবং তার ভাই রতন পলাতক ছিলেন৷ কিন্তু মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দিয়ে রতন দাসের হদিশ পাওয়া যায়৷ তিনি বলেন, রতন দাস দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পিআরবাড়ি থানাধীন ডিমাতলিতে কাকার বাড়িতে লুকিয়েছিলেন৷ গতকাল গভীর রাতে তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
এদিকে, পালাতে গিয়ে মাথায় আঘাত লাগার কারণে আইজিএম হাসপাতালে চিকিৎসা করেছে সঞ্জীব দাস৷ আজ সকালে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে আইজিএম হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
আমতলি থানার ওসির কথায়, ওই খুনের ঘটনাটি কোনওভাবেই রাজনৈতিক নয়৷ তাদের মধ্যে ঝামেলার কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে৷ তিনি জানান, প্রয়াত নকুল দাসের স্ত্রী নিরূপা রায় ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মাসে সঞ্জীব দাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করেছিলেন৷ ওই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে৷ এ-মাসে ওই মামলার চার্জশিট আদালতে জামা দিয়েছে পুলিশ৷ তিনি বলেন, ওই মামলার কারণেই নকুল দাসের পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিলেন দুই ভাই মিলে৷ তিনি জানান, তাদের আগামীকাল আদালতে সোপর্দ করা হবে৷