BRAKING NEWS

কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের বিষয়টিকে রাজ্য সরকার অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করছে : উপমুখ্যমী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ আগস্ট৷৷ ত্রিপুরার রাবার চাষী ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের উদ্যোগীদের উৎসাহ দিতে প্রজ্ঞাভবনে আজ ’রাবার প্রডাকশন এণ্ড কমার্সিয়্যাল ইউটিলাইজেশন’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়৷ শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর এবং ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের (টি আই ডি সি) উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন উপমুখ্যমী তথা অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি যীষ্ণু দেববর্মা৷ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টি আই ডি সি-র চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়, মুখ্যসচিব ড. ইউ ভেঙ্কটেশ্বরলু, শিল্প দপ্তরের প্রধান সচিব এস আর কুমার, রাবার বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ড. কে এন রাঘবন, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা কিরণ গিত্যে, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিগণ এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত রাবার চাষী ও উদ্যোগীরা৷


অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপমুখ্যমী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, এই সরকারের দিশা হচ্ছে সরকার মানুষের কাছে যাবে, মানুষের যেন সরকারের কাছে আসতে না হয়৷ সেই লক্ষ্যেই সরকার পদক্ষেপ নেবে রাজ্যকে এক বিশেষ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য৷ তিনি বলেন, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যের মানুষের বিশেষ করে জনজাতি শ্রেণীর মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন হয়েছে এবং এতে রাবার চাষের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে৷ ত্রিপুরা রাজ্যে এগ্রো ইণ্ডাস্ট্রি বা কৃষিভিত্তিক শিল্পের উজ্জল ভবিষ্যতের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করছে৷

এ রাজ্যে বড় বড় কারখানা বসানোর সুুযোগ না থাকলেও ছোট ছোট শিল্প যেমন কুটির শিল্প, কৃষিভিত্তিক শিল্প, পর্যটন ইত্যাদির বিকাশের উপর সরকার জোর দিচ্ছে৷ তিনি বলেন, রাবার যোগানের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা সারা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে যা আমাদের গর্বের বিষয়৷ কিন্তু আরও বেশি পরিমাণে লাভ পেতে হলে আমাদের এই ক্ষেত্রের আধুনিকীকরণ করতে হবে এবং উৎপাদন বাড়াতে হবে৷ তিনি ব্যাঙ্কগুলিকে আরও বেশি প্রো-একটিভ ভূমিকা নিতে আহ্বান জানান এবং বলেন সরকার জনগণের পাশেই রয়েছে৷


আজকের অনুষ্ঠানে বক্তারা সবাই রাবারকে শুধু চাষেই সীমিত না রেখে আরও বেশি মূল্য যুক্ত করণের উপর জোর দেন৷ তাদের মতে এতেই চাষীরা ও সংশ্লিষ্ট সকলেই বেশি লাভবান হবেন৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন মুখ্যসচিব ড. ইউ ভেঙ্কটেশ্বরলু, টি আই ডি সি-র চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায় ও রাবার বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর কে এন রাঘবন৷ স্বাগত ভাষণ রাখেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব এস আর কুমার এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দপ্তরের অধিকর্তা কিরণ গিত্যে৷ মুখ্যসচিব তাঁর ভাষণে রাবার কাঠের ফার্নিচার ও অন্যান্য রাবারজাত জিনিসপত্র ব্যবহারে উৎসাহ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান৷ টি আই ডি সি-র চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায় রাবার ছাড়াও অন্যান্য বনজ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিকল্প অর্থনীতি গঠনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন৷ অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমী পাঁচ জন সুুবিধাভোগীর হাতে ঋণ অনুমোদনপত্র তুলে দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *