নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ আগস্ট৷৷ সদস্য সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে বিজেপির প্রদেশ কমিটি৷ এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮০০ সদস্য সংগ্রহ হয়েছে৷ যেখানে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ৫ লক্ষ৷ ফলে, ধারণা করা হচ্ছে, বিজেপি রাজ্যে সদস্য পদ সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে৷
বৃহস্পতিবার রাজধানী আগরতলার টাউন হল-এ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ কমিটির এক সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তাতে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের প্রদেশ সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব, শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্য প্রমুখ৷
সাংগঠনিক সভায় আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, বর্তমান সময়ে রাজ্যে অফলাইনে দলের ১ লক্ষ ৮০ হাজার সদস্যপদ সংগ্রহ হয়েছে৷ এছাড়া অনলাইনে সদস্য সংখ্যা হয়েছে ২,৬৬,৮০০৷ তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে পাঁচ লক্ষ৷ বিজেপি প্রদেশ সভাপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবেই৷
তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপি ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ অন্য রাজনৈতিক দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের অবস্থা এখন পরিযায়ী পাখির মতো৷ সময় মতো দিল্লি থেকে আসে, আবার কিছু সময় পর দিল্লি ফিরে যায়৷ তিনি কটাক্ষ করে বলেন, কেউ কেউ তো বিদেশেও পাড়ি দেন৷ কিন্তু বিজেপি একটি স্থায়ী দল, বলেন তিনি৷
বিপ্লব দেব বলেন, একসময় সিপিআইএম সমালোচনা করত মাত্র দুজন সাংসদের দল হল বিজেপি৷ সেই সমালোচনার উল্লেখ করে তাঁর দাবি, বিজেপি এখন আর আগের জায়গায় নেই৷ ২০১৫ সালের ৩ কোটি সদস্য সংখ্যা এখন বেড়ে ১১ কোটিতে গিয়ে পৌঁছেছে৷ বর্তমান সময়ে সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান শেষে এই সংখ্যা ১৩ কোটি পার হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি৷ তাঁর দাবি, বিজেপির সদস্য সংখ্যা ইউরোপের জনসংখ্যার চাইতেও বেশি হবে৷
এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যবাসী দু’’হাত তুলে বিজেপিকে আশীর্বাদ দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, দলকে এবং দলের ভাবমূর্তিকে রাজ্যের শেকড় পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে৷ কারণ, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের কাজকর্ম ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিফলিত হবে৷ তিনি বলেন, আমি ৬০ শতাংশ ভোটে সন্তুষ্ট নই, আমি চাই ১০০ শতাংশ ভোট৷ এর জন্য প্রয়োজন সব-কা সাথ, সব-কা বিকাশ, সব-কা বিশ্বাস৷’’
বিপ্লব দেব আজ গ্রামীণ সংস্থাগুলিকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন৷ বিশেষ করে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে পদাধিকারীদের মনোনীত করার প্রশ্ণে সর্তকতা অবলম্বন করার জন্য বলেছেন তিনি৷ তাঁর কড়া দাওয়াই, নিজের আত্মীয়-স্বজনের কথা না ভেবে সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষকে দায়িত্ব দিন৷ সাথে যোগ করেন, কিছুতেই যেন ধূর্তরা সুযোগ না পায়৷ এ-বিষয়ে নজর রাখার জন্য সতর্ক করেছেন বিপ্লব কুমার দেব৷ একই সঙ্গে তিনি নতুনদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন৷ কারণ রাজ্যবাসীর ১০০ শতাংশ সমর্থন চান তিনি৷ সাংগঠনিক কাজকর্ম প্রসঙ্গে বিপ্লব দেবের কড়া নির্দেশ, নামে নয়, কাজে গুরুত্ব দিতে হবে৷ সব স্তরেই সততা বজায় রেখে কাজ করতে হবে৷