নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জুলাই৷৷ ত্রিপুরায় গবাদি পশু পাচার ক্রমশ নিন্মমুখী হচ্ছে৷ বিএসএফের দাবি, গত তিন বছরে গবাদি পশু পাচার প্রতিবছরই কমছে৷ অবশ্য, এ-বিষয়ে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফএর কড়া টহলদারি সাফল্য এনেছে বলে দাবি বিএসএফ-এর৷
বিএসএফ-এর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের জনৈক আধিকারিক জানান, ত্রিপুরায় গবাদি পশু পাচারকারীরা বিশেষ করে অসম-আগরতলা জাতীয় সড়কটি ব্যবহার করে৷ পাচারকারীরা হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে অসম-আগরতলা জাতীয় সড়ক দিয়ে বাংলাদেশে গবাদি পশু পাচার করত৷ তাঁর কথায়, সীমান্ত নিকটবর্তী এলাকায় গবাদি পশু পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হলে পাচারকারীরা অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করে ফেলত৷ বাকি কাজ রাতের অন্ধকারে তারা সেরে নিত৷ তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে৷
তবে, গবাদি পশু পাচারে নিম্নমুখী প্রবণতার জন্য তিনি অসম সরকারকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, অসম সরকার অবৈধভাবে গবাদি পশু পরিবহণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে৷ তাছাড়া গত তিনবছরে বিএসএফ আন্তঃরাজ্য গবাদি পশু পাচারে সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে৷ এক্ষেত্রে তিনি সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ-এর ডগ স্কোয়াডের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আধিকারিকটি৷ তাঁর দাবি, সীমান্ত অপরাধীদের ধরপাকড়ে ডগ স্কোয়াড দারুণ কাজ করেছে৷ কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই পালাতে গিয়ে পাচারকারীরা বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়েছে৷
বিএসএফ-এর তথ্য অনুসারে ২০১৭ সালে ৪,৮০৬টি গবাদি পশু পাচারকালে উদ্ধার হয়েছে৷ তেমনি ২০১৮ সালে ২,৭০৪টি গবাদি পশু উদ্ধার করেছে বিএসএফ৷ এ-বছর ৩০ জুন পর্যন্ত ১,২৩৬টি গবাদি পশু পাচারকালে বিএসএফ উদ্ধার করেছে৷ এই তথ্য অনুসারে স্পষ্ট, প্রতি বছরই গবাদি পশু পাচার ত্রিপুরায় কমেছে৷ তবে, এখনও ত্রিপুরার অনেক প্রান্ত দিয়েই গবাদি পশু বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে৷ বিএসএফ আধিকারিকের কথায়, সীমান্ত দিয়ে গবাদি পশু পাচার সম্পূর্ণ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে৷
প্রসঙ্গত, প্রাকঈদ মরশুমে গবাদি পশু পাচারকারীরা অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে প্রচুর গবাদি পশু অগ্রিম পাচার করা হয়৷ অনেক ক্ষেত্রেই কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে গবাদি পশু বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে৷ তবে, বিএসএফ ওই সমস্ত পাচারবাণিজ্য বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে বলে দাবি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর৷