নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জুলাই৷৷ কারিগরি ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে৷ এই ভাবনা থেকে ত্রিপুরায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির নিজস্ব বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত তিনটি জায়গা নিয়ে আজ সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বৈঠক করেছেন৷ বৈঠকে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির জন্য সম্ভাব্য তিনটি জায়গার অবস্থানগত দিক, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়সমূহ নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী দেব প্রস্তাবিত এই তিনটি জায়গা সম্পর্কে বিশদভাবে অবহিত হন এবং সার্বিক সবকিছু বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন৷
সভায় আলোচনাকালে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, সরকার রাজ্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি গুণগত শিক্ষা প্রসারের উপর জোর দিচ্ছে৷ তাঁর মতে, কারিগরি ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে৷ সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার এ-ধরনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে, বলেন তিনি৷
আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ উপস্থিত ছিলেন৷ শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, ইন্ডয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ২০১২ সালে অনুমোদন দিলেও দীর্ঘদিন তা স্থাপনের জন্য কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷ যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি৷
তাঁর দাবি, বর্তমান সরকার রাজ্যের দায়িত্বভার নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ত্রিপুরার ছেলেমেয়েদের কারিগরি ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আগরতলায় এনআইটি-তে অস্থায়ীভাবে চালু এই প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যেই ১৪ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত আছেন৷
এদিনের সভায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি পরিচালনার ক্ষেত্রে গভর্নিং বডি সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে৷ সভায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি স্থাপনের জন্য সম্ভাবনাময় তিনটি জায়গার বিষয়ে সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা সাজ ওয়াহিদ৷ তিনি জানান, ইন্ডয়ান ইস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি স্থাপনের জন্য ১২৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে৷ এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ৫৭.৫ শতাংশ, বেসরকারি শিল্প সংস্থার ৭.৫ শতাংশ এবং রাজ্য সরকার ৩৫ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করবে৷
প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পরিকাঠামো-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করে কীভাবে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা যায় সে-সব বিষয়েও সভায় বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে৷ এদিনের সভায় অতিরিক্ত মুখ্যসচিব কুমার অলক, শিক্ষা দফতরের সচিব সৌম্যা গুপ্তা আলোচনায় অংশ নেন৷ এছাড়াও সভায় জিরানিয়া এবং মোহনপুরের মহকুমা শাসকগণ উপস্থিত ছিলেন৷