নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জুলাই৷৷ বেড়েছে মিজোরামে প্রত্যাবর্তনে রাজ্যে আশ্রিত ব্রু শরণার্থীদের সংখ্যা৷ ৪৭৭৭ পরিবারের ২৮,৩১৭ জনকে শনাক্ত করেছেন মিজোরামের আধিকারিকরা৷ তবে, এখনো ১৩৯২ পরিবারের ৮৩৪৩ জনকে শনাক্ত করা হয়নি৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলা শাসক রেভেল হেমেন্দ্র কুমার বলেন, রাজ্য সরকার ব্রু শরণার্থীদের মিজোরাম সরকারের সুপারিশে আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্কে খাতা খুলে দিয়েছে৷ প্রায় ৯৫ শতাংশ ব্রু শরণার্থীদের এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে৷ বাকিদেরও নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে, বলেন তিনি৷
আজ তিনি জানিয়েছেন, কাঞ্চনপুর মহকুমায় নাইসিংপাড়া, আশাপাড়া, হেজাছড়া এবং পানিসাগর মহকুমায় কাসকাউ, খাকচাং ও হামলাপাড়ায় ব্রু শরণার্থীরা আশ্রিত রয়েছেন৷ তিনি জানান, মহকুমা শাসকের রিপোর্ট অনুসারে কাঞ্চনপুর মহকুমায় তিনটি শিবিরে ৪৮৫৪টি পরিবারের ২৮৯০১ জন এবং পানিসাগর মহকুমায় তিনটি শিবিরে ৯৮৮টি পরিবারের ৬২০৭জন শরণার্থী রয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ২২ জুলাই পর্যন্ত কাঞ্চনপুর মহকুমার তিনটি শিবিরের ৩৫৭৪টি পরিবারের ২১১১৪ জন এবং পানিসাগর মহকুমায় ১২০৩টি পরিবারের ৭২০৩ জন শরণার্থীদের মিজোরাম আধিকারিকরা মিজোরাম নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করেছেন৷ তবে, এখনো কাঞ্চনপুর মহকুমায় তিনটি শিবিরে ১২৮০ পরিবারের ৭৭৮৭ জন এবং পানিসাগর মহকুমায় তিনটি শিবিরে ১১২ পরিবারের ৫৫৬ জনকে মিজোরামের নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করেনি মিজোরামের আধিকারিকরা৷
তিনি আরও জানান, মিজোরাম সরকারের সুপারিশ মেনে ব্রু শরণার্থীদের আধার কার্ডের বন্দোবস্ত করেছে ত্রিপুরা সরকার৷ গত ২২ জুলাই পর্যন্ত কাঞ্চনপুর মহকুমায় তিনটি শিবিরে ২০১৬২ জনের আধার কার্ড দেওয়া হয়েছে৷ বাকি রয়েছেন ৮৭৩৯ জন৷ তেমনি পানিসাগর মহকুমায় ৫৮৬০ জনকে আধার কার্ড দেওয়া হয়েছে৷ বাকি রয়েছে ১৩৪৩ জন৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ছয়টি শিবিরে ৬০৫৭ পরিবারের ৩৬১০৪ জনের ব্রু শরণার্থীদের মধ্যে ২৬,০২২ জনকে আধার কার্ড দেওয়া সম্ভব হয়েছে৷ বাকি রয়েছেন ১০,০৮২ জন৷
এদিকে, মিজোরাম সরকারের সুপারিশে ব্রু শরণার্থীদের ব্যাঙ্কের খাতাও খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান উত্তর ত্রিপুরা জেলা শাসক৷ তিনি বলেন, গত ২২ জুলাই পর্যন্ত কাঞ্চনপুরে তিনটি শিবিরে আশ্রিত ৪৮৫৪ পরিবারের মধ্যে ২৩৫৫ পরিবারের ব্যাঙ্কের খাতা খুলে দেওয়া হয়েছে৷ বাকি রয়েছে ২৪৯৯ পরিবার৷ একইভাবে পানিসাগর মহকুমায় ১২০৩ পরিবারের মধ্যে ৭২৯ পরিবারের ব্যাঙ্কের খাতা খুলে দেওয়া হয়েছে৷ বাকি রয়েচে ২৯৭৩ পরিবার৷ তিনি জানান, যাদের ব্যাঙ্কের খাতা খোলা হয়নি, তাদের নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে৷
এদিন তিনি জানিয়েছেন, ব্রু শরণার্থীদের মিজোরামে প্রত্যাবর্তনে ত্রিপুরা সরকার সবরকম সহযোগিতা করছে৷ ব্রু শরণার্থীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াও প্রায় সমাপ্ত৷ এখন আনুষ্ঠিকভাবে তাঁদের স্বভূমে ফিরে যাওয়ার পালা, বলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা শাসক রেভেল হেমেন্দ্র কুমার৷