BRAKING NEWS

পাথারকান্দির কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ শিলচরে, উদ্ধার বদরপুরে, নিজের রক্ত দিয়ে পীড়িতাকে বাঁচালেন পুলিশকর্মী

করিমগঞ্জ (অসম), ২৪ জুলাই (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরে উদ্ধার হয়েছে পাথারকান্দি থানাধীন আসলকান্দি গ্রামের নিখোঁজ জনৈক কিশোরী। শিলচরে তাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে কিশোরীকে বদরপুর টাউন কমিটি অফিসবাড়ির ভূমিতল থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, খবর পেয়ে বদরপুর থানার পুলিশ গতকাল রাত প্রায় ৯-টা নাগাদ টাউন কমিটির অফিসবাড়ির ভূমিতল থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীগৌরী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের জন্য হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে করিমগঞ্জের সিভিল হাসপাতালে রেফার করেন। অপর্যাপ্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার শারীরি অবস্থার অবনতি হলে রক্তের দরকার হয়। তখন বদরপুর থানার এএসআই মণিরুল ইসলাম নিজের রক্ত দিয়ে মানবিকতার নজির স্থাপন করে কিশোরীর প্রাণ বাঁচান।

পুলিশের কাছে ধর্ষিতা কিশোরী বয়ান দিয়ে বলেছে, তার রুমা বেগম (ছদ্মনাম)। বাড়ি পাথারকান্দি থানা এলাকার আসলকান্দি গ্রামে। সোমবার সে বারইগ্রাম মামার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। কিন্তু কতিপয় দুষ্কৃতী তাকে জবরদস্তি একটি অলটো গাড়িতে উঠিয়ে শিলচরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে তারা তাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। সেখান থেকে পালিয়ে সে মঙ্গলবার শিলচর থেকে করিমগঞ্জগামী একটি ট্র্যাভেলারে ওঠে বদরপুর পৌঁছে। এখানে এসে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে টাউন কমিটির অফিসের বারান্দায় বসে। এর পর আর কিছু বলতে পারে না। সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। 

তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, গতকাল রাতে কতিপয় প্রত্যক্ষদর্শী সেখানে একটি কিশোরী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে রয়েছে বলে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে তাঁরা গিয়ে রুমা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। 

এদিকে মেয়ে মামার বাড়ি গিয়ে পৌছেনি শুনে রুমানার মা বাবা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কোথাও মেয়ের হদিশ না পেয়ে গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হন তাঁরা। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এক অজ্ঞাতপরিয় ব্যক্তি ফোনে রুমার বাবাকে জানায়, তাদের মেয়েকে শিলচরের এক চা স্টলে দেখা গিয়েছে। এই খবর শুনে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ার উপক্রম রুমার মা বাবার। ইতিমধ্যে বদরপুর পুলিশের কাছ থেকে তাদের মেয়ে উদ্ধারের খবর পেয়ে আজ সকালে তারা করিমগঞ্জ এসেছেন।

ভুক্তভোগী রুমার বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে তালাশি অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গেছে। তার বাবার কাছে যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল তাকেও খুঁজছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *