BRAKING NEWS

আনারস উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ জুলাই৷৷ক্যুইন প্রজাতির আনারসের পর কিউ প্রজাতির আনারসও এবার বিদেশে পাড়ি দিলো৷ এক বছর আগে ক্যইন প্রজাতির আনারস বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছিলো৷ আজ রাজ্যের উন্নতমানের কিউ প্রজাতির আনারস মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইতে রপ্তানির আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মোটরস্ট্যাণ্ডে আজ সকালে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন৷ প্রথম পর্যায়ে ১৭ মেট্রিকটন কিউ প্রজাতির আনারস দুবাইয়ে রপ্তানি হচ্ছে৷ সাথে ৪,০০০ সুুগন্ধী লেবুও দুবাইয়ে রপ্তানি হচ্ছে৷ ঊনকোটি জেলার দারচই, চিনিবাগান, দেওড়াছড়া, বেতছড়া ও ধলাই জেলার নালকাটার আনারস উৎপাদকদের আনারস আজ বিদেশে রপ্তানি হয়েছে৷ ত্রিপুরা সরকারের উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তর এবং নতুন দিল্লির এপিডা (ঙ্ঞ্ঝক্কঙ্গ)-র উদ্যোগে কিউ প্রজাতির আনারস বিদেশে রপ্তানির এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ সরকারের এই উদ্যোগের ফলে এখন স্থানীয় আনারস ও লেবু চাষীরা উৎসাহিত৷ তারা বাড়তি আয়ের পথ খঁজে পেলেন৷


দুবাইয়ে আনারস রপ্তানি অনুষ্ঠানের ফ্ল্যাগ অফ করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, দেশ ও রাজ্যের অর্থনীতির বুনিয়াদ তৈরি হয় ক’ষকের হাত ধরে৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর নেত’ত্বে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২২ সালের মধ্যে ক’ষকের আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে৷ রাজ্য সরকারও সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে৷ সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার ক’ষকদের উৎপাদিত পণ্য বিশেষ করে আনারস এবং অন্যান্য ফল ও সব্জি বিদেশে এবং বহির্রাজ্যে রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে৷ এতে ক’ষকদের রোজগার যেমন ব’দ্ধি পাবে তেমনি ক’ষকরা রোজগারের আশায় উৎসাহিত হবেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যে বর্তমানে ১৭০০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হচ্ছে৷ রাজ্যে এবার ১ লক্ষ ২০ হাজারের মেট্রিকটনেরও বেশি ক্যুইন ও কিউ প্রজাতির আনারস উৎপাদিত হয়েছে৷ আগামী দেড়, দুই বছরের মধ্যে রাজ্য সরকার আনারসের উৎপাদন ৩ লক্ষ মেট্রিকটনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে৷ এজন্য রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে আনারস চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে আনারস উৎপাদনে জড়িত বেশিরভাগ ক’ষকই হচ্ছেন জনজাতি সম্পদায়ের৷ তাই সরকার আনারস চাষে জনজাতি সম্পদায়ের ক’ষকদের আরও বেশি করে উৎসাহিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে৷


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ এখান থেকে ১৭ মেট্রিকটন কিউ প্রজাতির আনারস বিদেশে রপ্তানি হলো৷ সাথে সুুগন্ধী লেবুও রপ্তানি হচ্ছে৷ রপ্তানিকারক সংস্থার মাধ্যমেও এখন পর্যন্ত ৫৪০ মেট্রিকটন ক্যইন ও কিউ প্রজাতির আনারস বহির্রাজ্যে রপ্তানি হয়েছে৷


রাজ্যের ক’ষকদের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে ও বহির্রাজ্যে রপ্তানির সরকারের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে৷ তিনি বলেন, নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেই ক’ষকদের কল্যাণে বহু কর্মসূচি নিয়েছে৷ বর্তমান সরকারের উদ্যোগেই রাজ্যে প্রথমবারের মতো ভারতীয় খাদ্য নিগমের মাধ্যমে নূ্যনতম সহায়ক মূল্য ১৭.৫০ টাকা কেজি করে ক’ষকদের উৎপাদিত ধান ক্রয় করার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত রূপায়িত হয়৷ এই কর্মসূচিতে রাজ্যের ক’ষকদের কাছ থেকে ১০ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছিলো৷ এবছরও রাজ্যে খাদ্য দপ্তরের মাধ্যমে ক’ষকদের কাছ থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের পূর্বতন সরকার ক’ষক কল্যাণে এ সমস্ত কোনও পদক্ষেপই নেয়নি৷


অনুষ্ঠানে ক’ষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, পূর্বতন সরকারের সময় ক’ষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পেতে পারে তারজন্য কোনও উদ্যোগ নেয়নি৷ আমাদের সরকার ক’ষকদের প্রাপ্য সম্মান দিতে চায়৷ মুখ্যসচিব ইউ ভেঙ্কটেশ্বরলু ক’ষকদের সার্বিক কল্যাণে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক’ষি দপ্তরের সচিব এম এল দে৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধ সেন, বিধায়ক ভগবান দাস, বিধায়ক সুুধাংশু দাস ও বিধায়ক দিবাচন্দ্র রাঙ্খল৷ এদিকে, আজ সকালে কুমারঘাটের রাধানগর হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও ক’ষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় এসে পৌঁছালে বিধায়ক ভগবান দাস, বিধায়ক সুুধাংশু দাস, জেলাশাসক রবীন্দ্র রিয়াং ও পুলিশ সুুপার লাকি চৌহান তাঁদের পুপস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *