দুরন্ত গতিতে বাইক চালানোর দৃশ্য ফেসবুক লাইভ কেড়ে নিল এক তরতাজা যুবকের প্রাণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, জলেফা, ২২ জুলাই৷৷ দুরন্ত গতিতে বাইক চালানোর দৃশ্য ফেসবুক লাইভ কেড়ে নিল এক তরতাজা যুবকের প্রাণ৷ এ ঘটনায় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে৷ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুমের জলেফা আমতলিতে অবস্থিত সেতুতে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে৷


জানা গিয়েছে, আগরতলা- সাব্রুম জাতীয় সড়কে জলেফা দ্বাদশ শ্রেণির কাছে অভিশপ্ত ওই সেতুতে কয়েকমাসের ব্যবধানে চারজন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন৷ সোমবার সকাল প্রায় সাড়ে এগারটা নাগাদ ওই সেতুতে বাইক দুর্ঘটনায় সাব্রুম মহকুমার হরিণা এলাকার বাসিন্দা নির্মল দাসের ছেলে রাহুল দাস (৩০)-এর মৃত্যু হয়েছে৷ একই ঘটনায় সদাইসুখ দাসের ছেলে সুমন দাস (২৮) গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে৷


রাহুলের পরিবারের কাছে জানা গিয়েছে, সুমনের সাথে টিআর ০৩ ডি ৫৭২৭ নম্বরের বাইকে চেপে রাহুল সাব্রুম রেল স্টেশনে ঘুরতে গিয়েছিল৷ রাহুল বিএসসি নার্সিং পাশ করে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন৷ কয়েক দিন আগে বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন তিনি৷ আজ সন্ধ্যার বিমানে তাঁর কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু বন্ধুর সাথে ঘুরতে বেড়িয়ে তার বাড়ি ফেরা হল না৷
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, রাহুল বাইক চালাচ্ছিলেন৷ পেছনে বসে সুমন রাহুলের মোবাইল দিয়ে ফেসবুক লাইভ করছিলেন৷ প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর কারণে জলেফা দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের কাছে সেতুতে উঠেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা৷ কারণ, ওই সেতুতে ওঠার সময় একটি বাঁক নিতে হয়৷ দুরন্ত গতি থাকায় ওই বাঁক নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি রাহুল৷


জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বাইক ওই সেতুর রেলিঙের মাঝখানে ঢুকে যায়৷ তাতে দুজনই গুরুতর আহত হন৷ স্থানীয় জনগণ দমকল ও পুলিশকে দুর্ঘটনার খবর দেন৷ খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সাব্রুম মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ কিন্তু, কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রাহুলকে মৃত ঘোষণা করেন৷ এদিকে, সুমন দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে আগরতলার জিবিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন৷