নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ জুলাই৷৷ বিজিবি-র অনীহায় জিরো পয়েন্টে দিন কাটাচ্ছেন ১২ জন রোহিঙ্গা৷ মায়ানমারের নাগরিকত্বের নথি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের কক্সবাজারে কুতুপ্লাওঙ্গে শরণার্থী শিবিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না বিজিবি৷ নথি যাচাই এবং রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করার অজুহাতে আজও তারা ভারতের ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে জনৈক সুমন মিয়াঁর বাড়িতে রয়েছেন৷ আদৌ তাদের বাংলাদেশের শিবিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা তা নিশ্চতভাবে বলা যাচ্ছে না৷ কারণ, বিএসএফ-বিজিবি পতাকা বৈঠক আজও নিষ্ফলা সমাপ্ত হয়েছে৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক বিএসএফ জওয়ান জানিয়েছেন, ১২ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজিবি-কে একাধিকবার বলা হয়েছে৷ কিন্তু তারা নানা আছিলায় রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ক্ষেত্রে টালবাহানা করছে৷ আজ তিনি জানিয়েছেন, ওই ১২ জন রোহিঙ্গার কাছে মায়ানমারের নাগরিকত্বের নথি পাওয়া গিয়েছে৷ তাছাড়া, তারা বাংলাদেশের কক্সবাজারের শিবিরের আশ্রিত ছিলেন তা-ও স্বীকার করেছেন৷ কিন্তু, বিজিবি তা মানতে রাজি হচ্ছে না৷
ওই জওয়ানের কথায়, আজ সকালে বিএসএফ-বিজিবি পতাকা বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ বৈঠকে বিজিবি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের নথি যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ তাছাড়া, তারা আদৌ ওই শিবিরে আশ্রিত ছিলেন কিনা তা শনাক্ত করারও চেষ্টা হচ্ছে৷ এই প্রক্রিয়া সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত ওই ১২ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার শিবিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়৷
ওই জওয়ান আরও জানিয়েছেন, রোহিঙ্গারা স্বীকার করেছেন তাদের আত্বীয়স্বজন কক্সবাজার শিবিরে রয়েছেন৷ কিন্তু, কীভাবে তারা ত্রিপুরা সীমান্তের দিকে এসেছেন সে-বিষয়ে কিছুই জানাচ্ছেন না৷ ওই জওয়ানের কথায়, আগামীকাল ফের দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ আশা করা যাচ্ছে, তাতে ১২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে৷

