নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুলাই৷৷ পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল প্রথা পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে রুলস সংশোধন করে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য আনবে শিক্ষা দফতর ৷ কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার পাশ-ফেল প্রথা চালু করার জন্য পলিসি সংশোধন করেছে ৷ ফলে, রাজ্য সরকারও রুলস সংশোধন করতে চাইছে ৷
শিক্ষার অধিকার আইনে পাশ-ফেল প্রথা তুলে দেওয়া হয়েছিল ৷ তাতে, ছাত্রছাত্রীদের উপর বিরাট প্রভাব পড়েছে, তা প্রমাণিত হয়েছে ৷ চলতি বছরের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষার অধিকার আইনে সংশোধন করেছে ৷ তাতে, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল প্রথা পুনরায় চালু করা হয়েছে ৷
সূত্রের খবর, ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষা দফতর মন্ত্রিসভা আগামী বৈঠকে পাশ-ফেল প্রথা চালু করার জন্য রুলস সংশোধনী অনুমোদনের জন্য আনবে ৷ তাতে সরকারি এবং সরকার অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে পুনরায় চালু হবে পাশ-ফেল প্রথা ৷
সূত্রের দাবি, রুলস অনুযায়ী প্রতি বছর প্রত্যেক শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নিতে হবে ৷ তবে, পাশ-ফেলের সুযোগ থাকবে শুধু পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ৷ তৃতীয় ও চতুর্থ এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পাশ-ফেল পদ্ধতি থাকবে না ৷ কিন্তু, প্রত্যেক শ্রেণিতে মূল্যায়ন অবশ্যই করা হবে ৷
সূত্রটি জানিয়েছে, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের ন্যূনতম মার্কস পেতে হবে ৷ ওই মার্কসের সাথে ইন্টারনাল এসেসমেন্ট মার্কস যুক্ত হবে ৷ সূত্রের দাবি, দৃষ্টিহীন এবং দিব্যাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের ওই পরীক্ষায় ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হবে ৷
এদিকে, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হতে পারবে না তাদের দুই মাসের মধ্যে পুনরায় পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে ৷ সূত্রের কথায়, ওই সময় অনুত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের বিশেষভাবে বিদ্যালয়গুলিকে যত্ন নিতে হবে ৷ তাদের আলাদাভাবে কোচিং দিয়ে যাতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে ৷ শুধু তা-ই নয়, বিদ্যালয়সমূহের পরিদর্শক এবং জেলা শিক্ষা আধিকারিকরা ওই ছাত্রছাত্রীদের কোচিংয়ের নজরদারি রাখবেন ৷ সূত্রের বক্তব্য, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে অনুত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ যত্ন নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে ৷ তাতেও যারা ব্যর্থ হবে তাদের পরবর্তী ক্লাশে যেতে দেওয়া হবে না ৷
ধারণা করা হচ্ছে, চলতি শিক্ষাবর্ষেই ত্রিপুরায় পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল প্রথা চালু হয়ে যাবে৷