শ্রীনগর, ২২ জুলাই (হি.স.): ‘নির্দোষ মানুষকে না মেরে যারা কাশ্মীরকে লুট করেছে তাদের মারুন’, এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পর সোমবার নিজেই সেকথা স্বীকার করে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বললেন, রাজ্যপাল হিসাবে ওই মন্তব্য করা উচিত হয়নি। কার্গিলে লাদাখ পর্যটন উৎসবের উদ্বোধনে রবিবার রাজ্যপাল বলেন, “যারা বন্দুক হাতে তুলে নিয়েছে তারা কোনও কারণ ছাড়াই নিজেদের লোকেদের মারছে। তারা খুন করছে পুলিশকর্মী, নির্দোষ জনসাধারণ এবং সেনা-জওয়ানদের। ওদের না মেরে, তাদের মারুন যারা দেশকে লুঠ করছে। যারা কাশ্মীরের সব সম্পদ লুঠ করছে।” রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। এরপর এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “যা বলেছি, এই প্রচন্ড দুর্নীতি দেখে রাগের মাথায় বলেছি। এই পদে না থাকলে আমি এই মন্তব্যেই স্থির থাকতাম। তবে, রাজ্যপাল হিসাবে ওই মন্তব্য করা আমার উচিত হয়নি।”

রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তাঁর বক্তব্য, “এই ব্যক্তি দায়িত্বশীল সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। কিন্তু তিনিই জঙ্গিদের বলছেন যে সব নেতাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মনে হয় তাঁদের খুন করতে। দিল্লিতে এখন নিজের ভাবমূর্তি কী তা আগে ওঁর জানা উচিত। তার পরে না হয় অবৈধ আদালত আর অবৈধ হত্যার অনুমতি দেবেন।” পাল্টা তাঁকে ‘রাজনৈতিক জুভেনাইল’ বলে কটাক্ষ করে এদিন সত্যপাল মালিক বলেন, “ওর টুইটের পরবর্তী প্রতিক্রিয়াগুলি দেখলেই বুঝতে পারবেন। ওমর একজন ‘পলিটিক্যাল জুভেনাইল’, যে সব বিষয়েই টুইট করে। এরাজ্যের মূল ব্যাধি হল এখানে রাজনৈতিক নেতা থেকে উচ্চপদস্থ আমলা প্রত্যেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত। রাজ্যপাল হিসাবে এমন মন্তব্য করা আমার ভুল হলেও, চারিদিকের এত দুর্নীতি দেখে ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েই একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে ওই মন্তব্য করেছি।” বিজেপি সূত্রের মতে, রাজ্যপাল একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন। তবে, কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমন করে ওই রাজ্যকে মূলস্রোতে অন্তর্ভুক্ত করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি।

