ঢাকা, ১৪ জুলাই (হি.স.) : টানা দশদিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর রবিবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ মারা গেলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মহম্মদ এরশাদ(৯০)। ফুসফুসে সংক্রমণ, বিকল কিডনি ও রক্তে হিমগ্লোবিনের সল্পতা নিয়ে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন।
শনিবারই জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম কাদের জানিয়েছিলেন, এরশাদের কোনও অঙ্গ আর কাজ করছে না। রোজ ডাকলে চোখ মেলে তাকাতেন। এখন আর তাও করছেন না।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান থেকে দেশের শাসনক্ষমতা দখল করেন এরশাদ। দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত। ১৯৮২ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে সেনাশাসন জারি করেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য গণ আন্দোলনের চাপে তাঁকেও সরে যেতে হয় ক্ষমতা থেকে। অবৈধভাবে ক্ষমতাদখল তো বটেই, আর্থিক কেলেঙ্কারি, মহিলাঘটিত বিতর্কেও ছিল তাঁকে ঘিরে।
বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। সেকথা মাথায় রেখেই তিনি জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদে বসিয়ে যান ভাই জি এম কাদেরকে। এনিয়ে দলের মধ্যেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের খবর।
এরশাদের জন্ম ভারতের কোচবিহারে। স্নাতক হয়ে তিনি পাক বাহিনীতে যোগ দেন। মু্ক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন পাকিস্তানে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে তাঁকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়। প্রাক্তন সেনাপ্রধান জিয়াউল রহমানের উদ্যোগে তাঁকে সেনা উপপ্রধানের দায়িত্বে আনা হয়। জিয়াউল রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এরশাদকে আনা হয় সেনাপ্রধান পদে। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে খুন হন জিয়াউল হক। এর পেছনে এরশাদের হাত ছিল অভিযোগ করেছিলেন খালেদা জিয়া।