নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুলাই৷৷ অল ত্রিপুরা ১০,৩২৩ ভিক্টিমাইসড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অসহায় শিক্ষক সমাজকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য রাজ্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছে৷ বুধবার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অল ত্রিপুরা ১০,৩২৩ ভিক্টিমাইস টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম রাজ্য সম্মেলন থেকে এই আবেদন জানানো হয়৷
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে নিযুক্ত ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের ভাগ্যে কালো মেঘ ক্রমশ ঘনিভূত হচ্ছে৷ ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চাকুরির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ এই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জন্য বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাদেরকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে৷
১০,৩২৩ শিক্ষক পরিবারের জীবন জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে৷ তাদের ভাগ্যে যেভাবে কালো মেঘ ঘনিয়ে আসতে শুরু করেছে তাতে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো এক অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে৷
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অল ত্রিপুরা ১০,৩২৩ ভিক্টিমাইস টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বুধবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে রাজ্য ভিত্তিক কনভেনশনের মধ্য দিয়ে তাদের জীবন জীবিকা নিশ্চিত করার দাবিতে দাবি জানিয়েছেন৷ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান বর্তমান সরকার এই শিক্ষক সমাজকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তারা আশাবাদী৷ কেন না, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি’র ভিষন ডকুমেন্টে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় আসলে ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি নিশ্চয়তা দেওয়া হবে৷
বিজেপি’র নেতৃত্বে রাজ্যের সরকার গঠন হয়েছে৷ বর্তমান সরকার তাদের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করবে বলে তারা আশাবাদী৷ প্রসঙ্গক্রমে তারা বলেছেন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে আইনকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে এইসব শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছিল৷ এজন্য শিক্ষকরা কোনভাবেই দায়ী নন৷ এর দায় বামেদের৷ শিক্ষক ও তাদের পরিবার পরিজনরা কেন শাস্তির মুখে পড়বে সেই প্রশ্ণও তুলেছেন তারা৷
২০২০ সালের মার্চ মাসের আগে এইসব শিক্ষকদের পরিবারের কথার চিন্তা করে বর্তমান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তারা আশা ব্যক্ত করেছেন৷
শিক্ষক সমাজের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তারা যে বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবে তারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে অল ত্রিপুরা ১০,৩২৩ ভিক্টিমাইস টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে৷