গুয়াহাটি, ১০ জুলাই (হি.স.) : গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে অসমের বিভিন্ন এলাকায় ফের বন্যার সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম বন্যার জল এখনও বহু অঞ্চল থেকে নামেনি। এরই মধ্যে নতুন করে বহু বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। চলতি বন্যায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে রাজ্যের ১১টি জেলা। ইতিমধ্যে তিনজনের প্রাণহানিও ঘটেছে।
অসম রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আজ (১০ জুলাই) সন্ধে পর্যন্ত রাজ্যের ১১টি জেলার ২৪টি রাজস্ব সার্কলের ৫৩০টি গ্রাম বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে। বন্যাক্রান্তের সংখ্যা ২,০৭,০৯৮। বন্যা কবলিত জেলাগুলি যথাক্রমে উজানের ডিব্রুগড়, ধেমাজি, লখিমপুর, মাজুলি, গোলাঘাট, যোরহাট, মধ্য অসমের বিশ্বনাথ, নিম্ন অসমের নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং এবং দরং।
দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ আরও জানান, চলতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ গুয়াহাটির গরচুকের বাসিন্দা ৫৬ বছর বয়সি জনৈক নারায়ণ সাহা ভূমিধসের কবলে পড়ে মারা গেছেন। অন্য দুজন গোলাঘাট ও ধেমাজিতে বন্যার কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
জানানো হয়েছে, যোরহাট ও শোণিতপুরে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এভাবে শিবসাগরে দিখৌ, গোলাঘাটে ধনশিরি, শোণিতপুরের জিয়াভরালি এবং বরপেটার বেকি নদীর জলও প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে।
ন্যাশনাল ডিজেস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এবং স্টেট ডিজেস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ)-এর পর্যাপ্ত জওয়ান বন্যা কবলিত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় স্থানে বন্যা পীড়িতদের ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন তাঁরা।
রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধেমাজিতে এখন পর্যন্ত ১৩টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। এগুলোতে ধেমাজি, লখিমপুর, গোলাঘাট এবং সংলগ্ন এলাকার বন্যা পীড়িত ১৪৯ জন আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা যেমন ধেমাজি, লখিমপুর, গোলাঘাট এবং যোরহাটে মোট দশটি ত্রাণ বণ্টন শিবির খোলা হয়েছে।