কলাইগাঁও (অসম), ৯ জুলাই (হি.স.) : অবশেষ গ্রেফতার হয়েছে কলাইগাঁও-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তান্ত্ৰিক রমেশ শহরিয়া। শনিবার ঘটনার দিন থেকে আত্মগোপনকারী রমেশ শহরিয়াকে সোমবার মধ্যরাতে দরং জেলার সিপাঝাড় থানা এলাকার কুরুয়া নামক এক গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সূত্ৰের তথ্যের ভিত্তিতে দরঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মামণি হাজরিকার নেতৃত্বে পুলিশের এক দল অভিযান চালিয়ে রমেশকে গ্ৰেফতার করেছে।
প্রসঙ্গত, অন্ধবিশ্বাসের কবলে পড়ে গত ৬ জুলাই অৰ্থাৎ শনিবার ওদালগুড়ি জেলার কলাইগাঁও থানার অন্তৰ্গত গণকপাড়া (কুলসিচক) গ্রামের বাসিন্দা দৈপাম লালবাহাদুর হাইস্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক যাদব শহরিয়া এবং তাঁর গোটা পরিবার যে কাণ্ড সংঘটিত করেছিলেন, তার মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত এই তথাকথিত তান্ত্ৰিক রমেশ শহরিয়া। রমেশ শহরিয়ার বাড়ি দরং জেলার বানেকুচিতে। অগাধ ধন-ঐশ্বর্য এবং চার বছর আগে নিহত মেয়ের ‘খুনি’দের (মতান্তরে আত্মঘাতী) শনাক্ত করার ভুয়ো আশ্বাস দিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতার মতো এক পবিত্ৰ বৃত্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যাদব শহরিয়া ও তাঁর পরিবারকে প্রলোভিত করে উন্মাদ করে দিয়েছিল তান্ত্রিক রমেশবাবা। গত শনিবার যাদব শহরিয়া ও পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বাড়ির প্রতিষ্ঠিত শিবমন্দিরে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে পূজাৰ্চনা ও হোমযজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। পূজার নামে সেদিন বলি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এক অবোঝ শিশুকে। শিশুকে বলির হাত থেকে উদ্ধার করতে এবং উন্মাদ যাদব শহরিয়া, তার ছেলে পুলকেশ এবং অন্য পুরুষ সদস্যদের নিরস্ত্র করতে গিয়ে পুলিশের কমান্ডো বাহিনীকে গুলি চালাতে হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত গৃহকর্তা শিক্ষক যাদব শহরিয়া বৰ্তমানে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ছেলে পুলকেশের ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাসতুতো ভাই জুমন কলিতারও চিকিৎসা চলছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
তান্ত্ৰিক রমেশ নাকি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছিল যাদববাবুর ছেলে পুলকেশকে। তান্ত্রিকের কুমন্ত্রণার বলে ছেলে উন্মাদ হয়ে যায় মন্দিরের মাটির নীচে জ্যোতিৰ্লিঙ্গ এবং রত্নভাণ্ডার উদ্ধারের জন্য। সেদিন পুলকেশই নাকি যাদব শহরিয়া এবং তাঁর পরিবারের সবাইকে বিবস্ত্র হয়ে পূজায় বসতে নির্দেশ দিয়েছিল। তার কথা না শুনলে দা দিয়ে কুপিয়ে সবাইকে বলি দেবে বলেও হুমকি দিয়েছিল সে। তান্ত্রিক রমেশ শহরিয়ার নির্দেশে সে নাকি বলেছিল, এদিনের পূজা সাৰ্থক করতে প্ৰয়োজনে পরিবারের কোনও এক শিশুকে বলি দেওয়া হবে, গতকাল বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজ্ঞান শিক্ষক যাদব শহরিয়া।
যাদববাবুর অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে জড়িত এক তান্ত্ৰিক চক্ৰ। যারা ছেলে পুলকেশের মাধ্যমে বাড়ির শিব মন্দির গুঁড়িয়ে মাটির নীচ থেকে রত্নভাণ্ডার আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্ৰ রচনা করেছিল। শিক্ষক শহরিয়া বলেন, ‘আমাদের সবাইকে উলঙ্গ করিয়ে মন্দিরে প্ৰবেশ করতে বাধ্য করার পর ছেলে মন্দিরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা শুরু করে। নতুন দামি বাইক ও ঘরের সব বিছানাপত্র কাপড়-চোপড় পুড়িয়ে দেয়।’
ধৰ্মের নামে অন্ধবিশ্বাসের কবলে পড়ে উলঙ্গ হয়ে পূজাৰ্চনা করে রত্নভাণ্ডার লাভ করে ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখে যাদব শহরিয়ার এখন আর হারানোর মতো কিছু অবশিষ্ট নেই। শনিবার ঘটনার দিন পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিল ২৬ বছরের কমপিউটারে স্নাতক ছেলে পুলকেশ শহরিয়া। পরবর্তীতে তাকে এবং তার বাবা-সহ তিনজনকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে ভরতি করা হয়। কিন্তু রবিবার ভোররাতে ছেলে পুলকেশের মৃত্যু হয়।
যাদব শহরিয়ার পত্নী পু্ণ্যকান্তিও গোটা ঘটনার জন্য তান্ত্রিক রমেশ শহরিয়াকে দোষীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ভণ্ড তান্ত্রিক তাঁর মেয়ে হেমাশ্রীকে চার বছর আগে ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট খুন করেছে। এর পর ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দেয় সে।
রসঙ্গত, অন্ধবিশ্বাসের কবলে পড়ে গত ৬ জুলাই অৰ্থাৎ শনিবার ওদালগুড়ি জেলার কলাইগাঁও থানার অন্তৰ্গত গণকপাড়া (কুলসিচক) গ্রামের বাসিন্দা দৈপাম লালবাহাদুর হাইস্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক যাদব শহরিয়া এবং তাঁর গোটা পরিবার যে কাণ্ড সংঘটিত করেছিলেন, তার মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত এই তথাকথিত তান্ত্ৰিক রমেশ শহরিয়া। রমেশ শহরিয়ার বাড়ি দরং জেলার বানেকুচিতে। অগাধ ধন-ঐশ্বর্য এবং চার বছর আগে নিহত মেয়ের ‘খুনি’দের (মতান্তরে আত্মঘাতী) শনাক্ত করার ভুয়ো আশ্বাস দিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতার মতো এক পবিত্ৰ বৃত্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যাদব শহরিয়া ও তাঁর পরিবারকে প্রলোভিত করে উন্মাদ করে দিয়েছিল তান্ত্রিক রমেশবাবা। গত শনিবার যাদব শহরিয়া ও পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বাড়ির প্রতিষ্ঠিত শিবমন্দিরে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে পূজাৰ্চনা ও হোমযজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। পূজার নামে সেদিন বলি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এক অবোঝ শিশুকে। শিশুকে বলির হাত থেকে উদ্ধার করতে এবং উন্মাদ যাদব শহরিয়া, তার ছেলে পুলকেশ এবং অন্য পুরুষ সদস্যদের নিরস্ত্র করতে গিয়ে পুলিশের কমান্ডো বাহিনীকে গুলি চালাতে হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত গৃহকর্তা শিক্ষক যাদব শহরিয়া বৰ্তমানে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ছেলে পুলকেশের ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাসতুতো ভাই জুমন কলিতারও চিকিৎসা চলছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
তান্ত্ৰিক রমেশ নাকি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছিল যাদববাবুর ছেলে পুলকেশকে। তান্ত্রিকের কুমন্ত্রণার বলে ছেলে উন্মাদ হয়ে যায় মন্দিরের মাটির নীচে জ্যোতিৰ্লিঙ্গ এবং রত্নভাণ্ডার উদ্ধারের জন্য। সেদিন পুলকেশই নাকি যাদব শহরিয়া এবং তাঁর পরিবারের সবাইকে বিবস্ত্র হয়ে পূজায় বসতে নির্দেশ দিয়েছিল। তার কথা না শুনলে দা দিয়ে কুপিয়ে সবাইকে বলি দেবে বলেও হুমকি দিয়েছিল সে। তান্ত্রিক রমেশ শহরিয়ার নির্দেশে সে নাকি বলেছিল, এদিনের পূজা সাৰ্থক করতে প্ৰয়োজনে পরিবারের কোনও এক শিশুকে বলি দেওয়া হবে, গতকাল বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজ্ঞান শিক্ষক যাদব শহরিয়া।
যাদববাবুর অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে জড়িত এক তান্ত্ৰিক চক্ৰ। যারা ছেলে পুলকেশের মাধ্যমে বাড়ির শিব মন্দির গুঁড়িয়ে মাটির নীচ থেকে রত্নভাণ্ডার আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্ৰ রচনা করেছিল। শিক্ষক শহরিয়া বলেন, ‘আমাদের সবাইকে উলঙ্গ করিয়ে মন্দিরে প্ৰবেশ করতে বাধ্য করার পর ছেলে মন্দিরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা শুরু করে। নতুন দামি বাইক ও ঘরের সব বিছানাপত্র কাপড়-চোপড় পুড়িয়ে দেয়।’
ধৰ্মের নামে অন্ধবিশ্বাসের কবলে পড়ে উলঙ্গ হয়ে পূজাৰ্চনা করে রত্নভাণ্ডার লাভ করে ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখে যাদব শহরিয়ার এখন আর হারানোর মতো কিছু অবশিষ্ট নেই। শনিবার ঘটনার দিন পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিল ২৬ বছরের কমপিউটারে স্নাতক ছেলে পুলকেশ শহরিয়া। পরবর্তীতে তাকে এবং তার বাবা-সহ তিনজনকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে ভরতি করা হয়। কিন্তু রবিবার ভোররাতে ছেলে পুলকেশের মৃত্যু হয়।
যাদব শহরিয়ার পত্নী পু্ণ্যকান্তিও গোটা ঘটনার জন্য তান্ত্রিক রমেশ শহরিয়াকে দোষীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ভণ্ড তান্ত্রিক তাঁর মেয়ে হেমাশ্রীকে চার বছর আগে ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট খুন করেছে। এর পর ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দেয় সে।
এদিকে গতকাল রাতে গ্রেফতার তান্ত্রিক রমেশ শহরিয়াকে কলাইগাঁও থানায় এনে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আজই তাকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন কলাইগাঁও থানার ওসি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তার তান্ত্রিক-সাম্রাজ্যের বহু গোপন তথ্য পাওযা যাবে বলে আশা পুলিশের তদন্তকারী অফিসারের।