BRAKING NEWS

৩০ বছর পর পুলিশের জালে খুনের আসামী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ জুলাই ৷৷ দীর্ঘ ৩০ বছর পর খুনের মামলায় অভিযুক্তকে ত্রিপুরা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে৷ ১৯৮৭ সালে বর্তমান দক্ষিণ জেলার শিলাইছড়ি এলাকায় নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন তৎকালীন গ্রামপ্রধান অরুণবরণ চাকমা ৷ ওই খুনের ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল ৷ তাঁদের মধ্যে চারজনকে পুলিশ ওই সময় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল ৷ কিন্তু, কেউজাই মগ তখন পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল৷


দীর্ঘ বছর পর গতকাল তাকে আমবাসা থানাধীন লালছড়া জুমিয়া কলোনি এলাকায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এদিকে, ধৃত কেউজাই মগের আইনজীবী দীপঙ্কর দেবনাথের দাবি, ওই খুনের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত অন্য চারজনই বেকসুর খালাস হয়েছেন৷


শিলাইছড়ি থানার ওসি জয়ন্ত মালাকার জানান, ১৯৮৭ সালে সংঘটিত ওই খুনের ঘটনায় তেমন কোনও নথি তাঁর কাছে নেই৷ শুধু ওয়ারেন্ট রয়েছে৷ এর ভিত্তিতে কেউজাই মগকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ওয়ারেন্ট অনুযায়ী ১৯৮৭ সালে শিলাছড়ি এলাকায় গ্রামপ্রধান অরুণবরণ চাকমা খুনে অভিযুক্ত বারবিল এলাকার শিলারদুয়ারের বাসিন্দা কেউজাই মগ পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল৷ তাঁর দাবি, দীর্ঘ সময় তাকে মিজোরামে আত্মগোপন করে থাকার প্রমাণ মিলেছে৷ গোপন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে নাকি জানতে পেরেছেন, দামছড়া দিয়ে কাঞ্চনপুর হয়ে আমবাসা থানাধীন লালছড়া জুমিয়া কলোনি এলাকায় কেউজাই মগ আত্মগোপন করে রয়েছে৷


জয়ন্তবাবু জানান, ওই খবরের ভিত্তিতে আমবাসা থানার সহযোগিতায় গতকাল তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ আজ তাকে বিলোনিয়া সেসন কোর্টে তোলা হয়েছে৷ তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৪৪/৪৪৮/৩২৩/৩০৪/৩৪ ধারায় মামলা হয়েছিল৷


এদিকে, ধৃত কেউজাই মগের আইনজীবী দীপঙ্কর দেবনাথ জানান, তার মক্কেলকে এক দিনের জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত৷ দীপঙ্করবাবুর কথায়, তাঁর মক্কেল নিদর্োষ৷ কারণ, ওই খুনের ঘটনায় অন্য অভিযুক্তরা সকলেই বেকসুর খালাস হয়েছেন৷ আগামীকাল তাকে পুনরায় আদালতে তোলা হবে৷ আগামীকাল ওই খুনের মামলার সমস্ত নথি আদালতে জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *