নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুন৷৷ উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা পুলিশের অভিযানে আবারও উদ্ধার হয়েছে ৩৫ হাজারটি নেশার ট্যাবলেট ইয়াবা৷ এর সঙ্গে আটক করা হয়েছে করিমগঞ্জ জেলার নিলামবাজার এলাকার দুই ড্রাগস কারবারি যথাক্রমে জমির উদ্দিন (২৫) এবং বদরুল হক (৩০)-কে৷
প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, রবিবার ভোররাতে টিআর ০১ এএইচ ১৯১০ নম্বরের একটি ছয় চাকার রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই লরি করিমগঞ্জ থেকে পাথারকান্দি হয়ে চাঁদখিরা কদমতলারোড দিয়ে ত্রিপুরায় যাচ্ছিল৷ লরিটি অসমের পাথারকান্দি থানার অধীন সোনাখিরা পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করে কাঁঠালতলি পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশের মুখে কদমতলা নাকাচেকিং পয়েন্টে আসে৷ নাকাচেকিঙে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী জনৈক বিজন চক্রবর্তী, এসপিও গোপিকা মিশ্র এবং দুই টিএসআর জওয়ান গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই লরিতে তন্নতন্ন তালাশি চালান৷ তালাশি চালিয়ে লরির ক্যাবিন থেকে কয়েকটি প্যাকেটে উদ্ধার হয় নেশার ট্যাবলেট ৩৫ হাজার ইয়াবা৷ পুলিশ সূত্রের খবর, খোলা বাজারে প্রতি ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম কুড়ি থেকে পঁচিশ টাকায় বিক্রি হয়৷ সেই হিসাবে উদ্ধারকৃত নেশার ওষুধগুলোর বাজার মূল্য সাত থেকে আট লক্ষ টাকা৷
কদমতলা থানা সূত্রে জানা গেছে, নাকা চেকিঙের সময় পরিস্থিতি সুবিধের নয় বুঝে লরির চালক ও সহচালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু পারেনি৷ তাদের দুজনকে ধরে ফেলেন পুলিশের কর্মীরা৷ ধৃত দুজনই করিমগঞ্জ জেলার নিলামবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা৷ তাদের একজন লোহারপাড়া গ্রামের দশ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক আলাউদ্দিনের ছেলে বছর ২৫-এর জমির উদ্দিন (লরিচালক) এবং অন্যজন একই গ্রামের প্রয়াত আব্দুল খালেকের ৩০ বছরের ছেলে বদরুল হক (সহ-চালক)৷ পুলিশি জেরায় চালক জমির উদ্দিন নাকি বলেছে, শিলচরের রাঙ্গিরখাড়ি থেকে গ্যাস সিলিন্ডারগুলো সংগ্রহ করে তেলিয়ামুড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল তারা৷ কিন্তু মধ্য রাতে আসিমগঞ্জ (পাথারকান্দি থানা এলাকায়) এলাকায় ওই প্যাকটগুলি তুলে দেন জনৈক ব্যক্তি৷ প্যাকেটগুলি বহনের জন্য তাকে নগদ দশ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছে জমির৷
এদিকে ধৃত জমির উদ্দিন এবং বদরুল হকের বিরুদ্ধে কদমতলা থানায় এনডিপিএস-এর ২২০/২৯/৮ ধারায় ৩৭/১৯ নম্বরে এক মামলা লিপিবদ্ধ করে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ আগামীকাল সোমবার বিপুল সংখ্যায় উদ্ধারকৃত ইয়াবা-সহ তাদের ধর্মনগরে বিচারবিভাগীয় আদালতে পেশ করা হবে৷