নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুন ৷৷ ত্রিপুরা পুলিশের সদর কার্য্যালয় এবং মন্ত্রিদের সরকারী বাসভবনের পাশ্ববর্তী স্থানে দুটি দোকানে চুরির চেষ্টার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ণ উঠেছে৷ বুধবার গভীর রাতে আগরতলায় ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনীতে দুটি দোকানে চোরেরা হানা দেয়৷ তবে, কিছু নগদ টাকা ছাড়া অন্য কিছুই চুরি হয়নি৷ কিন্তু, উচ্চ নিরাপত্তা জোনে চোরেদের তান্ডবে পুলিশের ভূমিকায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে৷
এ-বিষয়ে দোকান মালিক প্রবীর কুন্ডু জানান, ফায়ার সার্ভিস এলাকায় চুরির ঘটনা নতুন নয়৷ ইতিপূর্বে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ কিন্তু, পুলিশ নির্বিকার৷ তিনি ক্ষোভ প্রকার করে বলেন, পুলিশ চুরি থামাতে এবং চোরেদের পাকড়াওয়ে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ৷ তাই, রাতের অন্ধকারে উচ্চ নিরাপত্তা জোনে দোকানের টিনের ছাদ কেঁটে চোরেরা ভেতরে ঢুকে চুরির চেষ্টা করেছে৷
আরেক দোকান মালিক সরিফ আলির কথায়, বুধবার রাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং পেন্টিং-এর দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ তবে, চোরেরা নগদ টাকা ছাড়া কিছু নিয়ে যেতে পারেনি৷ তিনি জানান, দুটি দোকানেই টিনের ছাদ কেঁটে চোরেরা ভেতরে প্রবেশ করেছে৷ আজ সকালে দোকানে ঢুকে দেখি সমস্ত জিনিষপত্র লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে৷ তাঁর কথায়, চোরেরা রাতে দোকানে ঢুকে জিনিষপত্র নষ্ট করেছে৷ কিন্তু, কিছু নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে৷ তবে, রাতে চোরেরা দুটি দোকানে তান্ডব চালিয়েছে অথচ পুলিশ কোন আঁচ পায়নি, বিষয়টি অবাক করেছে৷ তিনি বলেন, পাশেই পুলিশের সদর কার্য্যালয় রয়েছে৷ অপর পাশে মন্ত্রিদের সরকারী বাসভবন, সেখানে প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন আছে৷ অথচ, তাঁরা দুটি দোকানে চুরির ঘটনা টের পাননি৷ তাতে, প্রমাণিত হয়েছে পুলিশ দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করছে৷
দোকান মালিক প্রবির কুন্ডুর বক্তব্য, ইতিপূর্বে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ প্রতিবার চুরির ঘটনার পুলিশ এসে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে চলে গিয়েছেন৷ কিন্তু, আজ পর্যন্ত কোন কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি৷ তাতে, চোরেরা অস্কারা পেয়েছে মনে করছি৷
এই চুরির ঘটনা সম্পর্কে পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশের বক্তব্য, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন ত্রুটি নেই৷ তা সত্বেও চুরির ঘটনা নিশ্চই চিন্তার বিষয়৷ তবে, এখন থেকে আরো কড়া নজরদারী চালানো হবে৷ পুলিশের দাবি, জন নিরাপত্তায় আরো যত্নবান হবো আমরা৷