নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ জুন৷৷ পনের জন্য গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে৷ গৃহবঘূকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাাখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে৷ জনরোষে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত স্বামীকে৷ অন্যদিকে, শাশুড়ি ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী আগরতলা শহরের মাস্টারপাড়ায়৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ এলাকার লোকজন অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়ির কঠোর শাস্তির দাবী করেছে৷ এমনকি গৃহবধূর মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও ছুটে যায় এলাকার লোকদজন৷
আনুমানিক ৫ বছর পূর্বে নতুননগর এলাকার বাসিন্দা নায়না দাসের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় রাজধানীর নেতাজি চৌমুহনি সংলগ্ণ মাস্টার পাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় অর্থ দপ্তরে কর্মরত সঞ্জীব দেবের সাথে৷ সঞ্জীব ও নায়নার একটি ছেলেও রয়েছে৷ ছেলে নার্সারিতে পাঠরত৷ নায়নার বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ বিয়ের কিছু দিন পর থেকে নায়নার উপর নির্যাতন চালাত নায়নার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন৷ বিয়ের সময় নায়নার বাপের বাড়ির লোকজন যে সকল স্বর্ণালঙ্কার দিয়েছিল, সেগুলিও বিক্রয় করে দিয়েছে নায়নার স্বামী৷ সম্প্রতি নায়নাকে বাপের বারি থেকে ১ লক্ষ্য টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন৷
কিন্তু এই টাকা বাপের বারি থেকে আনতে অস্বীকার করে নায়না৷ এরই মধ্যে বুধবার সকালে নায়না ছেলেকে বকুনি দেয় দুষ্টামি করার জন্য৷ সেই থেকে মুল ঘটনার সুত্রপাত৷ দম্পতির মধ্যে এই নিয়ে বচসা হয়৷ এরই মধ্যে সঞ্জীব নায়নার বাপের বারিতে ফোন করে জানায় নায়না নিজের ঘড়ে প্রবেস করে দরজা বন্ধ করে ফেলেছে৷ ঠিক তার কিছুটা সময় পর ফের একবার নায়নার বাপের বারিতে ফোন করে জানানো হয় নায়না ঘড়ের অভ্যন্তরে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে৷ নায়নার বাপের বাড়ির লোকজন আসার আগেই, পুলিসকে খবর না দিয়ে নায়নার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নায়নাকে আই.জি.এম হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ তখন চিকিৎসক নায়নাকে মৃত বলে ঘোষণা করে৷ এইদিকে নায়নার বাপের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে৷ নায়নার বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ নায়নাকে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন৷ জড়িত রয়েছে নায়নার স্বামী৷যদিও নিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে মৃতার স্বামী সঞ্জীব দেব৷
তবে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে আসার পর মৃতার শ্বাশুরি রেখা দেব হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়৷ এতে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়৷ মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে৷ ঘটনার খবর পেয়ে হাঁসপাতালে ছুটে আসে পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিস৷ পুলিস মৃতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে৷ এইদিকে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ঘটনার সঠিক তদন্তক্রমে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি প্রদানের৷