নয়াদিল্লি, ১৯ জুন (হি.স.): সপ্তদশ লোকসভায় সংসদে কংগ্রেস দলনেতার জন্য নির্দিষ্ট আসনে বসে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মঙ্গলবারই তিনি কংগ্রেসের দলনেতার পদে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পর এবং বিরোধী বেঞ্চে থাকা অবস্থায় এই প্রথম কোনও বাঙালি সাংসদ লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা মনোনীত হন। অন্যদিকে, লোকসভার নবনির্বাচিত স্পিকার রাজস্থানের কোটা-র বিজেপি সাংসদ ওম বিড়লা-কে স্বাগত জানিয়ে শায়রিও শোনালেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
গত পাঁচ বছর ধরে যে পদে ছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, ১৭তম লোকসভায় সেই পদের দায়িত্বই সামলাবেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বুধবার সপ্তদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে শায়রির সরে তিনি বলেন, “যেদিন মসজিদে রাম দেখা দেবেন, যখন মন্দিরের পূজারীকে রহমান দেখা দেবেন, সেদিন পৃথিবীর চেহারাই পাল্টে যাবে, যেদিন মানুষ মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব দেখতে পাবেন।” অন্যদিকে, ওম বিড়লা সপ্তদশ লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর এদিন তাঁর প্রশংসা করে স্বাগত জানিয়ে অধীর চৌধুরী শায়রির সুরে বলেছেন, “খুদা সে ক্যা মাঙ্গু তেরে ওয়াসতে, সদা খুশিও সে ভরে হো তেরে রাস্তে, হাসি তেরে চেহরে পে রহে ইস তরহা, খুশবু ফুলো কে সাথ রেহতি হ্যায় জিস তরহা।” প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে গত লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে সংসদে কংগ্রেস দলনেতা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে প্রধান বিরোধী দল। রাহুল গান্ধী স্বয়ং সেই দায়িত্ব নেবেন চিন্তা করে এই বিষয়ে তাড়াহুড়ো করেনি হাইকম্যান্ড। কিন্তু তিনি বেঁকে বসলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। অবশেষে মঙ্গলবার শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে সপ্তদশ লোকসভায় বিরোধী বেঞ্চে কংগ্রেস দলনেতার পদে বসেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।