BRAKING NEWS

মহিলাকে ধর্ষণের পর হত্যা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের সময় সাব্রুমে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জুন ৷৷ সাব্রুমের রতন মুনি এডিসি ভিলেজের ধূপছড়ি এলাকার বাঁশ বাগান থেকে ৩৫ বছর বয়সী রূপাইছু মগ এর মৃতদেহ উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবার৷ এই গৃহবধূর মৃত্যুর কারন নিয়ে শুক্রবার সাব্রুম মহকুমার হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করার সময় এলাকা থেকে শতাধিক উপজাতি অংশের লোকজনরা এসে ভীড় জমায়৷ এলাকাবাসী ও পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ তোলে৷

একই সাথে হত্যাকারির বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী জানান৷ এই ঘটনা নিয়ে এদিন শাসক দলে সাব্রুম এলাকার মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল সাব্রুম থানায় গেলে থানায় কর্তব্যরত ওসি কমল কর চৌধুরী তাদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ৷ পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন সাব্রুম মহিলা মোর্চার সহ- সভানেত্রী সুলতা মগ৷ মৃতার স্বামী থৈলা মগ এতটাই শোকাচ্ছন্ন যে ঠিক ভাবে কিছু বলতে পারছেন না৷ ময়নাতদন্তের পর ডঃ শ্যামরুপ ভট্টাচার্য্য জানান এইটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু ৷ রতন মুনি এডিসি ভিলেজের মধুমগ পাড়ার বাসিন্দা দুই সন্তানের জননী রূপাইছু মগের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে ক্রমাগত রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে৷


প্রসঙ্গত, রতনমণি এডিসি ভিলেজের বাসিন্দা থাইলা মগের স্ত্রী রুপাইছু মগ বাঁশ করুল সংগ্রহ করার জন্য ছুপছড়ির জঙ্গলে যান৷ অন্যদিকে তাঁর স্বামী ব্যাঙ্কের লোনের টাকা পরিশোধ করার জন্য মনুঘাটে একটি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন৷ রুপাইছু মগ সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ জঙ্গলে গিয়েছিল বাঁশ করুল সংগ্রহ করার জন্য৷ স্বামী বাড়ি ফিরে আসলেও স্ত্রী বাড়ি ফিরেনি৷ দীর্ঘ সময় বাড়িতে ফিরে না আসায় থাইলা মগের সন্দেহ হয়৷ পরে এলাকাবাসীকে নিয়ে জঙ্গলে যায় খোঁজাখঁুজি করতে৷ জঙ্গলে গিয়ে দেখা যায় রূপাইছু মগের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷ যদিও মৃতদেহে কোন আঘাত চিহ্ণ নেই৷ তবে, ওই মহিলাকে যে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল তা মৃতদেহ দেখে আন্দাজ করতে পারেন এলাকার লোকজন৷ সাথে সাথেই খবর দেয়া হয় সাব্রুম থানায়৷

থানার ওসি কমলকান্তি চৌধুরী অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, মৃতার স্বামী সাব্রুম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷ পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে রাতে খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ এই হত্যাকান্ডের কোন ক্লু বের করতে পারেনি৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ তবে, গ্রামবাসীর আশঙ্কা পরিচত কেউ ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছে এবং মহিলা যাতে পরে মুখ খুলতে না পারে তাই তাকে হত্যা কারা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *