নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ জুন৷৷ নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের প্রতিবাদে প্রদেশ যুব কংগ্রেস রবিবার দুপুর থেকে রাজধানী আগরতলা শহরের প্যারাডাইস চৌমুহনী সংলগ্ণস্থানে দুদিনের গণবস্থান আন্দোলনে সামিল হয়েছে৷ রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিজনিত কারণে যুব কংগ্রেস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদ থেকে পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছে৷

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পক্ষকাল অতিবাহিত হওয়ার পরও রাজ্যে বিরোধীদলের নেতা কর্মী সমর্থকদের উপর শাসক বাহিনীর হামলা হুজ্জুতি ও সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি৷ বিরোধীদল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে৷ কংগ্রেসের দলীয় অফিস জবর দখল, ভাঙচুর ও অগ্ণিসংযোগ করা হচ্ছে৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কঠোর মনোভাব গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ যুব কংগ্রেসের৷ এরই প্রতিবাদে রবিবার দুপুর থেকে দুদিনের গণ অবস্থানে সামিল হয় যুব কংগ্রেস৷ রাজধানীর গুরুজী কনফারেন্স হলের সামনে গণ অবস্থানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোপাল চন্দ্র রায় বলেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে ক্ষমতাসীন হয়েছে ১৫ মাস আগে৷ তারা এই সময়ের মধ্যে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে৷
বিগত লোকসভা নির্বাচনে প্রহসনে পরিণত করেছে৷ রাজ্যের মানুষ ২৫ বছরের বামেদের দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, বেকাল বঞ্চনা, কর্মচারী বঞ্চনা, শ্রমিক বিরোধী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বহু প্রত্যাশা নিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিল৷ কিন্তু ক্ষমতায় এসে বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যবাসীকে সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ ২০১৮ সালে রাজ্যের জনগণ কংগ্রেসকে বিশ্বাস করতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেন গোপাল বাবু৷
এরও কারণ রয়েছে বলে জানান তিনি৷ কারণ কংগ্রেস মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০০৮ ও ২০১৩ সালে কংগ্রেস সরকার পরিবর্তন করতে পারেনি৷ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন না থাকলেও জনগণ বিজেপিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে প্যারাস্যুড মুখ্যমন্ত্রী বলে অখ্যায়িত করেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গোপাল রায়৷ তিনি দিল্লি থেকে উড়ে এসে জুরে বসেছেন৷ বিপ্লববাবু ত্রিপুরার সংসৃকতি, আলো বাতাস, পরিস্থিতি জানেন না বলে মন্তব্য করেন গোপাল বাবু৷ পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান লোক বিপ্লব বাবু বলেওও উল্লেখ করেন তিনি৷ মাত্র ২ বছর আগে সভাপতি হিসেবে উড়ে এসে জরে বসে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেছেন৷
গণবস্থানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের অপর প্রাক্তন সভাপতি বীরজিৎ সিন্হা বলেন, কংগ্রেস নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হচ্ছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ যে কারণেই এই ধর্না আন্দোলন৷

