নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ মে৷৷ রাজ্যে সন্ত্রাস বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের নেতৃত্বে বিরোধী পরিষদীয় দলের ৬ সদস্যক প্রতিননিধি দল মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাজ্যের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতিজনিত বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেন৷ বিরোধী পরিষদীয় দলের সদস্যরা৷
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের নেতৃত্বে পরিষদীয় দলের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন৷ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা হুজ্জতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ সিপিএমের বেশ কয়েকটি অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷ ঘটেছে অগ্ণিসংযোগের ঘটনাও৷ রাজ্যে গণতন্ত্র আক্রান্ত, নাগরিক অধিকার বাধাপ্রাপ্ত, শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে৷ বিরোধী দলের কার্যকলাপ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷ সাধারণ নাগরিকের জীবণযাত্রা বিপন্ন হয়ে পড়ছে৷ রাজ্যে ব্যবসা বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷ এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিরোধী দলেয় পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে৷
বিরোধী দল নেতা অভিযোগ করেন সন্ত্রাস হঠাৎ করে হচেছ না, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভা নির্বাচন এবং ৩রা মার্চ ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম হয়েছে৷ এই সন্ত্রাসের পরিবেশের মধ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত উপনির্বাচন, নগর সংস্থাগুলির উপনির্বাচন সংগঠিত হয়েছে৷ সাড়া দেশের সামনে এসব নির্বাচন হাস্যস্কর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে৷ উপনির্বাচনের নামে গণতন্ত্রের নিধন যজ্ঞ ঘটানো হয়েছে৷ সন্ত্রাসের পরিবেশের মধ্যেই ১৭তম লোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বিরোধী দল প্রত্যাশা করেছিল শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ কিন্তু সেই অভিপ্রায় ব্যর্থতায় পরিগণিত হয়েছে৷ নির্বাচনী প্রচারে বিরোধী দলের প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছেন৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷
শাসক দল পুনভোটে ও সন্ত্রাস চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দল নেতা৷ গণনা কেন্দ্র থেকেই বিরোধীদের উপর আক্রমণ সংগঠিত করা হয়৷ বিরোধীদল ধারণা করেছিল গণনার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে৷ কিন্তু তা আরও বীভৎস আকার ধারণ করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা৷
রাজ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এবং উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চলেছে৷ এসব বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানানো হয়েছে৷