BRAKING NEWS

মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মমতা

কলকাতা, ২৮ মে (হি.স.) : লোকসভার নির্বাচনের প্রচার পর্বে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাক যুদ্ধে কোথাও কোথাও রাজনৈতিক শালীনতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল । সেই ‘এক্সপিয়ারী প্রধানমন্ত্রী’ নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় বার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মঙ্গলবার নবান্ন থেকে বের হবার সময় সে কথা নিজেই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘সাংবিধানিক সৌজন্যতা রাখছি । মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার চেষ্টা করছি’।

তিনি জানান, ‘ওঁরা আজই চিঠি পাঠিয়েছে । আমি অন্য কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি । এটা যেহেতু একটি সাংবিধানিক অনুষ্ঠান তাই আমারা ঠিক করেছি যে যাওয়া উচিত’। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে জানতে পেরেছি । মাঝে শুধু কালকের দিনটাই রয়েছে । পরশু সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ । ফলে যেতে হলে কালই যেতে হবে । আমরা চেষ্টা করছি শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার’ ।
কেন্দ্রে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সংসদীয় গণতন্ত্রের বড় অনুষ্ঠান বইকি । সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রপতিই সবাইকে নিমন্ত্রণ করেন । এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এটা বরাবরেরই রীতি । এবারও মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে রামনাথ কোবিন্দের তরফেই নিমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে ।
তবে রাষ্ট্রপতি নিমন্ত্রণ পত্র পাঠান বলেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই যে শপথ অনুষ্ঠানে যান, তা সব সময়ে হয় না । কেন্দ্রে শাসক দলের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত হলেও বহু সময়ে দেখা গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের মুখ্যমন্ত্রীরা অনুপস্থিত থাকেন । এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত যাবেন কিনা তা নিয়ে দোলাচল ছিল । তবে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ দিন সেই ধোঁয়াশা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা যে অবস্থান নিয়েছেন তা খুবই ইতিবাচক । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেমন সমন্বয়মূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কথা বলেন । তেমনই মমতাও যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে মজবুত করার পক্ষে । রাজনৈতিক বিরোধিতা যাতে সেই সমন্বয়ের পথে বাধা না হয় তার কথা দু’জনেই বলেন । মমতার এই অবস্থানকে এদিন স্বাগত জানিয়েছে বিজেপিও ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *