নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ মে৷৷ লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার সাথে সাথেই রাজ্যের নানা জায়গায় হামলা হুজ্জতি চালানোর অভিযোগ করেছে সিপিএম৷ দলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, শাসক দলের কর্মীরা সিপিএম কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণ করছে৷ সিপিএম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, বিজেপি কর্মী ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরেও সিপিএম নেতা কর্মীদের বাড়ি-ঘরে, কাউন্টিং এজেন্টদের জন্য ভাড়া করা গাড়ির চালকের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালিয়েছে৷ বিলোনীয় ও শান্তিরবাজার মহকুমায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত পাড়ায় আক্রমণ করা হয়েএছ৷ জিরানীয়া ও শচীন্দ্রনগরে সিপিএম পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে৷ কোথাও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলে সিপিএম অভিযোগ করেছে৷ শুধু তাই নয় ব্যাপক সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্রে সিপিএমের কাউন্টিং এজেন্টদের প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে বলেও দাবি করেছে দল৷
সিপিএমের তরফে প্রচারিত বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ভোট গণনা শুরু থেকে শাসক দল বিজেপির দুর্বৃত্তরা আগরতলায় উমাকান্ত একাডেমীতে ভোট গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতেই সিপিএম প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্টদের ওপর আক্রমণ চালায়৷ ১১জন কাউন্টিং এজেন্ট আক্রমণে আহত হন৷ বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়েছে বলেও দাবি সিপিএমের৷
এদিকে, শান্তিরবাজারে সিপিএম কাউন্টিং এজেন্টদের একটি ভাড়া করা বাসে পাঠানো হয়েছিল৷ কাউন্টিং হলে ঢোকার সাথে সাথে তাদের হুমকি দেয়া হতে থাকে৷ গণনা শেষ করে ফেরার পথে পুলিশের সামনেই বিজেপির দুর্বৃত্তরা বাসটি আক্রমণ করে চালককে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ৷ ইট পাটকেল মেরে বাসের ভেতরে থাকা কাউন্টিং এজেন্টদের আহত করে৷ অনেকের মাথা ফেটে যায়, বাসটির ভীষণ ক্ষতি হয়৷ পুলিশ গুরুতর আহত ড্রাইভারকে প্রথমে গোমতী জেলা ও পরে আগরতলা জি বি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে৷ আহত কাউন্টিং এজেন্টদের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
তাছাড়া বিশালগর, সোনামুড়া, জিরানীয়া, পানিসাগর, খোয়াই, তেলিয়ামুড়া, কুলাই প্রভৃতি স্থানে হামলা হুজ্জতি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ৷ সিপিএমের তরফ থেকে অবিলম্বে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস বন্ধে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশানকে কঠোর হতে দাবী জানিয়েছে৷