নয়াদিল্লি, ২১ মে (হি.স.) : ভিভিপ্যাটের স্লিপের সঙ্গে ইভিএমে প্রদত্ত ভোট ১০০ শতাংশ মিলিয়ে দেখার আবেদন ২২টি বিরোধী দলের | ভোটগণনার আগে কারচুপির আশঙ্কা করেই মঙ্গলবার এই দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিল ২২টি বিরোধী দল। বিরোধীদের নেতাদের আরও দাবি, গণনা শুরু আগে ভিভিপ্যাটের স্লিপের সঙ্গে অন্তত পাঁচটি বিধানসভার ইভিএমের ভোট মিলিয়ে দেখা হোক।
ভোট শেষ হতেই প্রকাশিত হয়েছে বুথফেরত সমীক্ষায় ফল | আর প্রায় সবকটি সমীক্ষাতেই কেন্দ্রে ফের মোদী সরকার গড়তে চলেছে বলেই দাবি করা হয়েছে | আর এই নেতিবাচক ফল আসতেই ইভিএম নিয়ে আশঙ্কিত বিরোধীরা। মঙ্গলবার ২২টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা ভিভিপ্যাটের স্লিপের সঙ্গে ইভিএমে প্রদত্ত ভোট ১০০ শতাংশ মিলিয়ে দেখার আবেদন করেন | এই দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিল ২২টি বিরোধী দল। বিরোধীদের নেতাদের আরও দাবি, গণনা শুরু আগে ভিভিপ্যাটের স্লিপের সঙ্গে অন্তত পাঁচটি বিধানসভার ইভিএমের ভোট মিলিয়ে দেখা হোক।
এদিন এবিষয়ে তাঁরা নির্বাচনের কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন | ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২২টি দলের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে দাবি ওঠে, ভোটগণনার শেষ ধাপে নয়, বরং শুরুতেই ভিভিপ্যাটের স্লিপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হোক ইভিএম। তাতে গড়বড় পাওয়া গেলে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাটের স্লিপ ও ভোট মিলিয়ে দেখা হোক। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক চলে দুপক্ষের।
এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, অশোক গেহলট, বসপা নেতা সতীশচন্দ্র মিশ্র, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজা, আপের আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, সপা নেতা রামগোপাল যাদব ও ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি। এদিন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের আগে দিল্লিতে বৈঠক করেন বিরোধী নেতানেত্রীরা।
কমিশন থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ”তিন মাস ধরে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি নিয়ে বলছি। কিন্তু তারা কোনও জবাব দেয়নি। এক ঘণ্টা শোনার পর আগামিকাল বৈঠকের সময় দিয়েছে কমিশন”।
কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন,”আমরা বলে এসেছি, আগে ভিভিপ্যাটের স্লিপ গুনে দেখা হোক। ভুলভ্রান্তি পাওয়া গেলে ১০০ শতাংশ স্লিপ মিলিয়ে দেখার ব্যবস্থা করুন”।
তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর কথায়,”সাধারণ মানুষের ভোটের সঙ্গে কাটাছেঁড়া করা যাবে না”।
উল্লেখ্য, এর আগে আজই ভিভিপ্যাটের স্লিপ ও ইভিএমের ভোট ১০০ শতাংশ মিলিয়ে দেখার জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আজ অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও এমআর শাহের পর্যবেক্ষণ, ”সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিষয়টির আগেই নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। দুই সদস্যের অবকাশকালীন বেঞ্চের কাছে আবার দরবার করছেন কেন? এই মামলা ‘বিরক্তকর’ বলে ব্যাখ্যা করেন বিচারপতিরা।