লখনউ, ১৬ মে (হি.স.): আগামী ১৯ মে উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা অন্তিম দফার ভোটগ্রহণ| কিন্তু, অন্তিম দফার ভোটের ৭২ ঘন্টা আগে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন| শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় প্রচার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গে শেষ পর্বের নির্বাচনী প্রচার একদিন কম করে দিয়েছে নির্বাচনী কমিশন| বৃহস্পতিবার রাত দশটাতেই শেষ হয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গে শেষ দফার ভোটের সমস্ত প্রচার| নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ‘অভূতপূর্ব’ ও ‘অনৈতিক’ বলে বর্ণনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| এবার এই ইসু্যতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র সুপ্রিমো মায়াবাতী| একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে কটাক্ষ করে মায়াবতী বলেছেন, ‘এটা খুবই পরিষ্কার যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং বিজেপির অন্যান্য নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন| পরিকল্পনামাফিক তাঁকে নিশানা করা হয়েছে| এটা খুবই ভয়ঙ্কর ব্যাপার, দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রবণতা কখনই মানানসই নয়|’
বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মায়াবাতী আরও বলেছেন, ‘রাত দশটার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন| অথচ এদিনই পশ্চিমবঙ্গে দু’টি নির্বাচনী জনসভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর|’ মায়াবতীর প্রশ্ন, ‘যদি, নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই হয় তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল না? খুবই অবিচার করা হয়েছে এবং অত্যন্ত চাপের অধীনে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন|’
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে প্রবল ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিবের পদ থেকে অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন| এডিজি সিআইডি রাজীব কুমারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে| আপাতত স্বরাষ্ট্রসচিবের কাজ দেখতে বলা হয়েছে মলয় ঘটককে|