নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ মে৷৷ অসমের শিলচর থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফেরার পথে করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কলকলিঘাট রেলস্টেশন থেকে ত্রিপুরার এক বাসিন্দা নিখোঁজ হয়েছেন৷ গত ৬ মে ত্রিপুরার খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার বড়মাছড়া কলইপাড়ার বাসিন্দা চন্দন ভৌমিক (৪০) অসমের করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কলকলিঘাট স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন৷ এখন পর্যন্ত তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি ৷ চন্দনের স্ত্রী দগনিতা কলই অসমের বারইগ্রাম জংশনে অবস্থিত জিআরপি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন৷ পাশাপাশি তেলিয়ামুড়া থানাষও একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তিনি ৷এ-বিষয়ে দগনিতা কলই জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী চন্দন ভৌমিক তাঁর ঘাড়ের চিকিৎসার জন্য তাঁরা শিলচর গিয়েছিলেন ৷ সাথে মহিলার শ্বশুর এবং দাদি-শাশুড়িও ছিলেন ৷
স্বামীর চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফেরার জন্য গত ৬ মে শিলচর থেকে ধর্মনগরগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ওঠেন তাঁরা ৷ রাত দশটা নাগাদ ট্রেনটি অসমের কলকলিঘাট স্টেশনে ক্রসিংয়ের জন্য দাঁড়ায়৷ দীর্ঘ সময় স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় তাঁর স্বামী চন্দন ভৌমিক ট্রেন থেকে নামেন ৷ দগনিতা কলই বলেন, আমরা ভেবেছিলাম ট্রেনে বসে থেকে বিরক্ত হয়ে যাওয়ায় স্টেশনে কিছুক্ষণ হাঁটার জন্য আমার স্বামী নেমেছিলেন ৷ কিন্তু ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পরও তিনি না আসায় চিন্তা হয়৷ তবে আমাদের মনে হয়েছিল অন্য কামরায় উঠেছেন তিনি ৷ কিন্তু ধর্মনগরে পৌঁছনোর পর অনেক খোঁজাখুজি করে তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি ৷দগনিতা জানান, ওইদিনের পর থেকে একাধিক স্থানে স্বামীর খোঁজ করেছি ৷ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমস্ত জায়গায় খুঁজেছি ৷ কিন্তু কোথাও তাঁকে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছি ৷ তিনি জানান, করিমগঞ্জের বারইগ্রাম জিআরপি থানায় স্বামীর বিবরণ দিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেছি ৷ পাশাপাশি তেলিয়ামুড়া থানাষও একটি ডায়েরি করেছি৷