নয়াদিল্লি , ১২ মে (হি.স.) : রাজ্যজুড়ে জনগণ বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছে। তাই হতাশায় ভুগে ষষ্ঠ দফায় রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। এদিন প্রকাশ জাভরেকর বলেন, ঝাড়গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ঘাটালে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন ভারতী ঘোষ। এমনকি তার গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে ভারতী ঘোষকে আটকানোর জন্য পুলিশ কাজ করে চলেছে।
গতকালই রাজ্যের ১৫০০ সমাজবিরোধীদের নাম নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। আমরা বিশ্বাস করি জনগণ ভয় না পেয়ে ভোট দিতে পেরেছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে জনগণ তাদের পক্ষে নেই। জনগণ বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে। আর তা থেকে হতাশায় ভুগে হিংসা ছড়াচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে প্রকাশ জাভরেকর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্সপেয়ারি ডেট নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে থাকে। এখন পশ্চিমবঙ্গে যে পরিমাণ হিংসা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের এক্সপেয়ারি ডেট চলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবার ছিল ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ। কেশপুরের একটি বুথে বিজেপির এজেন্টেকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না এমন খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন বিজেপি নেত্রী।
তখন তার উপর চড়াও হয় তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীরা। অভিযোগ ভারতী ঘোষকে লক্ষ্য করে অশালীন গালিগালাজ চলতে করে ওই মহিলা কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখানোর নাম করে তাঁকে ঘিরে হেনস্থা করা হয়। এমনকি মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ধ্বস্তাধস্তিতে পায়ের নখ উপড়ে যায় ভারতীর।ভারতী ঘোষের উপর দ্বিতীয় হামলাটি হয় কেশপুরের দুধগাছিয়ায়। সেখানে বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি করা হয়। এমনকি বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে গুলি চালাতে বাধ্য হয় ভারতী ঘোষের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী। হামলায় আহত হন তাঁর এক নিরাপত্তারক্ষী। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারতী ঘোষ বলেন, আমাকে আটকানো চেষ্টা করা হচ্ছে। আর তাই তৃণমূল আমার উপর হামলা চালিয়েছে।