নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ মে৷৷ ঘূর্ণিঝড় ফণীর কোনও প্রভাব তেমন পড়বে না ত্রিপুরায়৷ বৃষ্টিপাত ছাড়া কোনও ধরনের প্রাকৃতিক দুযর্োগের সম্ভাবনা নেই৷ প্রশাসনিক বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ শনিবার একথা জানিয়েছেন রাজ্য দুযর্োগ মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক শরৎ দাস৷ তাঁর কথায়, সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় ফণী ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়েছে৷ তাই ত্রিপুরায় শুধু বৃষ্টিপাত হবে, আবহাওয়া রিপোর্টে এমনটাই জানতে পেরেছি৷
রাজস্ব দফতরের অতিরিক্ত সচিব এল ডার্লং গতকাল ত্রিপুরার আট জেলার জেলাশাসককে ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন৷ তিনি জেলাশাসকদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আছড়ে পড়বে৷ সে দেশে বাতাসের গতিবেগ ৬০-৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা যা বেড়ে ৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে৷ তিনি আরও বলেছেন, ফণীর গতিপ্রকৃতি অনুসারে মনে হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়ের বাহ্যিক প্রভাব ত্রিপুরায়ও পড়বে৷ তাই তিনি সব রকমের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন৷
আজ শরৎ দাস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর মোকাবিলায় সমস্ত জেলার জেলাশাসকরা বৈঠক করেছেন৷ ত্রিপুরায় বর্তমান পরিস্থিতিরও পর্যালোচনা হয়েছে৷ তিনি জানান, বিশেষ সাইক্লোন সেল ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে৷ তাছাড়া, রাজ্য দুযর্োগ মোকাবিলা তহবিল থেকে কোনও দুযর্োগপূর্ণ পরিস্থিতিতে খরচ করার জন্য জেলাশাসকদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর কথায়, অনেক ক্ষেত্রে দুযর্োগপূর্ণ পরিস্থিতিতে অর্থের প্রয়োজন দেখা দেয়৷ তখন কোনও ধরনের সমস্যা না হওয়ার জন্যই ওই তহবিল ব্যবহারের আগাম অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷
শরৎ দাসের বক্তব্য, পর্যালোচনা বৈঠকে ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ফণীর প্রত্যক্ষ কোনও প্রভাব ত্রিপুরায় পড়বে না, তা সুনিশ্চিত হওয়া গিয়েছে৷ আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ফণী কিছুটা প্রভাব ফেললেও, ত্রিপুরায় বিরামহীন বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই৷ তাঁর বক্তব্য, শুরুতে মনে হয়েছিল, ফণীর প্রভাবে ত্রিপুরায় বিরামহীন বৃষ্টিপাত হবে৷ কিন্তু এখন সেই সম্ভাবনা না থাকায় ত্রিপুরায় বিরাট কোনও দুযর্োগ দেখা দেবে না বলেই মনে হচ্ছে৷ তবুও সারা রাজ্যেই সমস্ত রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷ তিনি অভয় দিয়ে বলেন, দুযর্োগ মোকাবিলায় কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি৷ ত্রিপুরাকে নিরাপদ রাখার সব রকমের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷