ঢাকা, ১ মে (হি.স.) : বিএনপি বাঁচাতেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরকে বাইরে রেখে অন্য সাংসদদের সংসদে যাওয়ার অনুমতি দিলেন। আপাতত বিএনপির ভাঙন রক্ষা পেল এইভাবে। বিএনপি শীর্ষ নেতারা আপাতত চুপ, ক্ষোভ ভেতরে পুষে রাখছেন। মহাসচিব এটাকেই কৌশল বলেছেন। এদিকে মির্জা ফখরুল নির্দিষ্ট সময়ে শপথ না নেওয়ায় তাঁর আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী মঙ্গলবার রাতেই সংসদ অধিবেশনে বগুড়া ৬ আসন শূন্য হওয়ার ঘোষণা দেন। মির্জা এই আসন থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২৯ এপ্রিল ছিল একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণের শেষ দিন। বিএনপির চার সদস্য শপথ নেন মঙ্গলবার তার আগে নিয়েছিলেন একজন। কিন্তু মির্জা নিলেন না। স্পিকার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের প্রথম বৈঠকের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি শপথ না নেওয়ায় আসনটি শূন্য হয়ে গেল। সময় বাড়ানোর জন্য মির্জা কোনও আবেদনও করেননি। এর ফলে নির্বাচিত হয়েও মির্জা সংসদের বাইরে রয়ে গেলেন। এখন নির্বাচন কমিশন ওই আসনে নতুন করে নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে।
এ প্রসঙ্গে মির্জা আলমগির সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, \”ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের সিদ্ধান্তে বিএনপির অন্য সাংসদরা শপথ নিয়েছেন। তিনি শপথ নেননি, তাও দলীয় সিদ্ধান্তে। বলা হচ্ছিল, আমি নাকি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্যে সময় বাড়াতে আবেদন করেছি। কিন্তু আমি কোনও আবেদন করিনি। সময়ও চাইনি। এটা আমাদের কৌশল। আর এই কৌশলের অংশ হিসেবে বিএনপির অন্য সদস্যরা শপথ নিয়েছেন, আমি নিইনি।\” একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অন্তর্ভূক্ত বিএনপি ৬টি এবং গণফোরাম ২টি আসন পায়। নির্বাচনের পরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেহেতু এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি, তাই তারা শপথ নেবেন না। কিন্তু গণফোরামের দুই সাংসদ আগেই শপথ নেন। শেষ মুহূর্তে বিএনপিও সংসদে এল। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন, প্যারোল বা মুক্তির বিষয়টিকে সামনে রেখে বিএনপি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।